স্বাস্থ্য ডেস্ক : কোনো রোগই কিন্তু বিনা সংকেত বা লক্ষণ ছাড়া ঝুপ করে হয় না। কিন্তু নিজেদের অনভিজ্ঞতার কারণে আমরা সেগুলি উপলব্ধি করতে পারি না। তাই সতর্কও হতে পারি না। ফলে ঠিক চিকিৎসার অভাবে বিপদে পড়তে হয়। হার্ট অ্যাটাকও ঠিক তেমনই একটা রোগ। হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আগে বেশ কয়েকটি লক্ষণ দেখতে পাওয়াই যায়। সেগুলিকে গুরুত্ব না দেওয়ার কারণেই সমস্যা জটিল থেকে জটিলতর হয়।

পুরুষদের হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে যে অতি সাধারণ লক্ষণগুলি দেখা যায়, সেগুলি এক এক জনের ক্ষেত্রে এক এক রকম হয়। যেমন-

ক্লান্তি-

যদি খুব ক্লান্তি বোধ হয় সেটা কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের একটা উপসর্গ। ভালো ঘুমের পরেও রোজ সাধারণ কাজ করতে গিয়েই ক্লান্ত হতে পড়লে আগাম সচেতন হন। কারণ হৃদয়ের পেশি আর কপাটিকাগুলি ঠিক মতো রক্ত পাম্প আর সরবরাহ করতে পাড়ছে না। ফলে গোটা শরীরে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হচ্ছে না। তাই অক্সিজেনও ছড়াতে পাড়ছে না। তাই ক্লান্তি বোধ হয়। এটাই বেড়ে গেলে হার্ট ব্লক ও অ্যাটাকের ঘটনা ঘটে।

পেশীতে টান-

পায়ে বা পেছনের দিকে শিরায় টান ধরে, হাঁটতে সমস্যা হয় বা চিন চিন করে। এই ধরনের টান ধরার কারণ হল ওই অংশের শিরা উপশিরায় রক্তের চলাচল ঠিক হচ্ছে না। তার কারণ হৃদয়েও রক্তের চলাচলে বাধা পাচ্ছে। তাই শরীরের সর্বত্র রক্ত ঠিক মতো পৌঁছচ্ছে না। এরও ফলাফল হার্ট অ্যাটাক।

নাক ডাকা-

নাক ডাকার সমস্যাটা মজার ব্যাপার মনে হলেও এটা কিন্তু মোটেই মজার নয়। এর মধ্যেই লুকিয়ে আছে হৃদরোগের সংকেত। এতে উচ্চ রক্তচাপের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। তা হৃদয়ের ওপর চাপ ফেলে। তা হার্ট অ্যাটাকের পথে ঠেলে দেয়।

বুকের ব্যথা-

খুব সাধারণ আর পরিচিত সমস্যা বুকের ব্যথা। একটু মানসিক চাপের সময়ে যদি বুকে ব্যথা শুরু হয়, সেই ব্যথা হাত, ঘাড়, মাথা ইত্যাদির দিকে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে, তা হলে জানবেন হৃদয়ে রোগ বাসা বাঁধছে। হৃদয়ের কাজ করার গতি কমছে। এটাই হার্ট অ্যাটাকের চেহারা নিতে পারে। তাই হৃদয়কে সচল করতে হবে। হৃদ সঞ্চালনের গতি বাড়াতে হবে।

হজমের সমস্যা-

প্রায় দিনই হজমের সমস্যা হয় তা হলেও সচেতন হন। কারণ গ্যা স্ট্রোইন্টেস্টাইনের শিরা উপশিরাগুলির সঙ্গে হৃদয়ের শিরা উপশিরার সংযোগ রয়েছে। তাই হৃদয়ে কোনো সমস্যা তৈরি হলে তার প্রভাব পরে পাকস্থলিতেও। ফলে পাকস্থলির স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হয়। তাই হার্ট সুস্থ রাখতে এই উপসর্গেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

(ওএস/এসপি/জুন ০৬, ২০১৮)