সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় হরিদেবপুর খেয়া পারাপারে আইনগত ব্যবস্থা পাওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন শিবু লাল দাস। অবশেষে ইজারাদার শিবুলাল দাসের নিজস্ব অর্থায়নে স্টীল বডির ৪ টি ট্রলার খেয়াঘাটে এসে পৌঁছেছে।

এ বিষয়ে ঐ এলাকার জনসাধারণ অনেক খুশি। গত ০৪ জুন/১৮ ইং তারিখ রোজ সোমবার এই অভিযোগটি দাখিল করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি আমলে নেন।

এ ব্যাপারে শিবু লাল দাস প্রতিবেদককে জানান যে, আমার খেয়া আমার ঘাটে ৫ টাকায় পারাপার করলে আমার ও জণগণের ভালো হয়। কিন্তু খেয়া পারাপারে মাঝিরা পাবলিকের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা পয়সা নেওয়ার কারণে আমার উপর এই অভিযোগটি আসে। আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত দরখস্ত করি। আমি আপনাদের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষকে জানাতে চাই খেয়াঘাটের সমস্যা সমাধান হলে আমি ও জণসাধারণ স্বস্তি পাই। আমি যেন মহোদয়ের কাছে সুষ্ঠু সমাধান পাইতে পারি।

শিবু লাল দাস আরও বলেন যে, গলাচিপা বন্দরের হরিদেবপুর খেয়াঘাটের বাংলা ১৪২৫ সনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ইজারদার নিযুক্ত হইয়া নিয়মিত ভাবে টোল আদায় করিয়া আসিতেছি। আমি ইজারাদার হিসেবে জন প্রতি ৫ টাকা করিয়া টোল আদায় করিয়া যাহা সর্বজন স্বীকৃতি। কিন্তু স্থানীয় মাঝিরা ট্রলারে করিয়া পারাপারের জন্য ৩ টাকা করিয়া আদায় করে। আমার সাথে তাদের মৌখিক চুক্তি হয়। ১ টাকায় পারাপার করিবে। কিন্তু তারা চুক্তি ভঙ্গ করিয়া অধিক লাভের জন্য টাকা হিসেবে আদায় করিয়া যাত্রীদেরকে হয়রানি করিয়া আসিতেছে বিধায় ইতিমধ্যে আমার ২ জন আদায়কারীকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করিয়াছেন। আমার কর্মচারীরা কখনও ৫ টাকার বেশি বা অতিরিক্ত টাকা আদায় করে নাই এবং করিবে না।

এমতাবস্থায় যাত্রীদের সুবিদার্থে আমি ইজারাদার হিসেবে নিজস্ব নৌকা, ট্রলার দ্বারা নির্ধারিত টোল আদায় পূর্বক যাত্রী সেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়া স্থায়ী মাঝিরা বিভিন্ন রকম হুমকি দিয়েছে এবং প্রকাশ করিয়া বেড়াইতেছে যে, আমার ট্রলার ভেঙ্গে দিবে, রাতের অন্ধকারে নদীতে ডুবাইয়া দিবে, আমার কর্মচারীদেরক মারপিট করিবে। অতএব, আমার শান্তিপূর্ণ টোল আদায়ের বিঘ্ন সৃষ্টি করিতে পারে, তাই আমি আইনগত সহযোগিতা পাওয়ার জন্য নির্বাহী অফিসারের নিকট একখানা দরখস্ত দাখিল করি।

এ বিষয়ে রুবেল, মামুন, নৈমুল, মোশারেফ জানান, ইজারাদারের নিজস্ব অর্থায়নের ট্রলার চলাচল করলে খেয়া পারাপারে যাত্রীদের কোন ভোগান্তি হবে না বলে তারা জানান।

এ বিষয়ে গোলখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: খালেক মিয়া জানান, ইজারাদারের নিজস্ব ট্রলার দিয়ে পারাপার করলে জনগণ একটু স্বস্তি পাবে।

গোলখালী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মো: নাসির উদ্দিন হাওলাদার জানান, আমি শুনেছি ইজারাদার বাবু শিবু লাল দাস নৌকায় বেশি টাকা নেয়ার কারণে নিজস্ব ভাবে ৪টি ট্রলার এনেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে। নিজস্ব অর্থানে ট্রলারগুলো চললে গোলখালী ও গলাচিপার জনসাধারণ স্বল্প সময়ে পারাপার হতে পারবে এবং খুব কম খরচে পারাপার হতে পারবে।

(এসডি/এসপি/জুন ০৮, ২০১৮)