জামালপুর প্রতিনিধি : পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেছেন, বাংলাদেশকে এক সময় ভিক্ষুকের জাতিহ হিসেবে বর্হিবিশ্বে চিনতো। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নশীল করার পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষের ক্ষুধাও দূর করেছেন। তাই সবচেয়ে লজ্জাজনক পেশা ভিক্ষাবৃত্তিকে প্রতিরোধ করবেই এই সরকার। শুধু প্রতিরোধই নয় পুর্ণবাসনের মাধ্যমে নির্মুল করা হচ্ছে। পুর্ণবাসনের পরও একই পেশায় কেউ যদি ফিরে আসে তখন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শনিবার (৯জুন) দুপুরে জামালপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গনে ভিক্ষুক পুর্ণবাসন ও উদ্ধুদ্ধকরন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনিএসব কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক আহমেদ কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(ভারপ্রাপ্ত) খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ,সিভিল সার্জন গৌতম রায়, পৌর মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: ওয়ারেছ আলী মিয়া, বিআরডিবির উপ-পরিচালক তৌহিদুল হক প্রমুখ।

প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম দুটি ভিক্ষুক পরিবারের মাঝে রিকসা ভ্যান, কয়েকজন ভিক্ষুক পরিবারের সদস্যদের পাঁচটি ছাগল, এক বস্তা করে আলু ও পিয়াজ বিতরন করে ভিক্ষুক পুর্ণবাসন কর্মসুচির সুচনা করেন। এক হাজার ৪৫জন ভিক্ষুককে একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্প, রিকসা ভ্যান, গবাদিপশু, বিধবা ভাতা,বয়স্ক ভাতা, ভিজিডি ও ভিজিএফ কর্মসুচির আওতায় আনা হবে। চলতি জুলাই মাসেই হবে ভিক্ষুকমুক্ত জামালপুর।

(আরআর/এসপি/জুন ০৯, ২০১৮)