সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর গলাচিপায় হরিদেবপুর খেয়া পারাপারে দুই জায়গায় টাকা নেওয়া হচ্ছে, ভোগান্তিতে জনগণ।

এ বিষয়ে মামুন, সিফাত, রুবেল প্রতিবেদককে বলেন, তরে নেওয়া হচ্ছে ৫ টাকা করে আমাদের কাছ থেকে আর খেয়ায় নেওয়া হচ্ছে ৩ টাকা করে। আসা যাওয়ায় আমাদের ১৬ টাকা লাগছে। এভাবে যদি হয় তাহলে আমাদের গলাচিপা আসার অনেক কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়।

এ বিষয়ে খেয়ার ইজারাদার বাবু শিবুলাল দাস প্রতিবেদককে বলেন, প্রতিদিন স্কুল, কলেজের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে যত লোক আছে আমি তাদের কাছ থেকে কোন টাকা নেই না। তারপরও আমার যেন প্রতিদিন দুর্নাম ছড়িয়ে যাচ্ছে। আমার একানে ভ্রাম্যমান আদালত দিয়ে সাজা দেওয়া হচ্ছে। জরিমানা করা হচ্ছে। আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনকে জানাতে চাই ৬ টাকায় আমি খেয়া পারাপার করব এবং আমার নিজস্ব খেয়া থাকলে এই দুর্নাম গুলো হবে না। তরে আমি ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে ৫ টাকা ছেড়ে দিলেও নৌকায় ৩ টাকা করে নেওয়ায় সেই দুর্নামটাও আমার উপর পড়ছে। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।

এ বিষয়ে নৌকার মাঝি গোপাল বলেন, আমরা প্রায় ৫৫ জন মাঝি আছি। ছোটবেলা থেকে নৌকায় আমাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে হয়েছে। ইজারাদার যদি আমাদের উঠিয়ে দেয় তাহলে আমরা কি করব, এটাই এখন আমাদের ভাবার বিষয়।

ইজারাদার ঘাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত মো: নইমুল প্রতিবেদককে জানান, ঘাটে ৬ টাকা করে রাখলে নৌকায় ফ্রি পারাপার হলে কোন সমস্যা থাকে না। জনসাধারণও কোন ভোগান্তিতে পরে না। কেননা, ইজারাদার ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা না রাখলেও নৌকায় ৩ টাকা করে রাখায় ছাত্র-ছাত্রীরা বাড়িতে গিয়ে তাদের অভিভাবকের কাছে বললে তারা মনে করে, হয়ত ইজারাদারই টাকা রেখেছে। তাই ইজারা মালিকের উপর সম্পূর্ণ দোষ আসে। আমার মামা শিবুলাল দাস তার নিজের অর্থায়নে ৪ টি ষ্টীল বডির ট্রলার এনেছে। প্রশাসন সহযোগিতা করলে ইতিমধ্যেই এ সমস্যা সমাধান হবে বলে তিনি জানান।

(এসডি/এসপি/জুন ১০, ২০১৮)