বিনোদন ডেস্ক : হবিগঞ্জে দায়েরকৃত চিত্র নায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে মানহানি ও প্রতারণার মামলা দায়ের হয়েছে। এর তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদন ও আবেদনের প্রেক্ষিতে সেই মামলা থেকে চিত্রনায়ক শাকিব খানকে বাদ দেয়ার আদেশ দেন ম্যাজিস্ট্রেট।

সেই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিভিশন করেছেন মামলার বাদী বানিয়াচং উপজেলার যাত্রাপাশা গ্রামের সিএনজি অটোরিকশা চালক ইজাজুর মিয়া। তিনি রবিবার জেলা দায়রা জজ মো. আমজাদ হোসেনের আদালতে রিভিশনটি দায়ের করেন।

বিচারক প্রাথমিক শুনানি শেষে রিভিশনটি গ্রহণ করে মামলার নিম্ন আদালতের নথি তলব করেন।

উল্লেখ্য, রাজনীতি সিনেমায় সংলাপের একাংশে চিত্র নায়ক শাকিব খান চিত্র নায়িকা অপু বিশ্বাসকে উদ্দেশ্য করে পূর্ণ ডিজিটের একটি মোবাইল নাম্বার বলেন। ওই নাম্বারটির মালিক হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের যাত্রাপাশা গ্রামের বাসিন্দা সিএনজি অটোরিকশা চালক ইজাজুল মিয়া। এরপর থেকে ইজাজুল মিয়াকে বিভিন্ন স্থান থেকে শাকিব খান মনে করে অসংখ্য ভক্ত ফোন করতে থাকেন। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন ইজাজুল মিয়া।

দিন রাত অবিরত মোবাইলে ফোন আসার কারণে তাকে সিএনজি অটোরিকশা চালকের চাকরি হারাতে হয়। ভাঙ্গার উপক্রম হয় সংসার। একমাত্র সন্তানকে নিয়ে স্ত্রী চলে যায় পিত্রালয়ে। এক পর্যায়ে কোন উপায়ান্তর না পেয়ে তিনি হবিগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চিত্র নায়ক শাকিব খান, রাজনীতি সিনেমার পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস ও প্রযোজক আশফাক আহমদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও মানহানির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য হবিগঞ্জ গোয়েন্দ পুলিশের ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা শাকিব খানকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন জানিয়ে অপর দুইজনের বিরুদ্ধে আমল গ্রহণ করার জন্য প্রতিবেদন দেন। প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সম্পা জাহান চিত্র নায়ক শাকিব খানকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে অপর দুইজনের বিরুদ্ধে আমল গ্রহণ করেন।

আদালতে বাদীপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ।

(ওএস/এসপি/জুন ১০, ২০১৮)