আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি : বরগুনার আমতলী উপজেলার উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামে যৌতুকের দাবীতে বরিশাল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর কম্পিউটার ইন্সট্রাক্টর এর বিরদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতন করে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে আমতলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নির্যাতনের শিকার নারীকে উদ্ধার করে। গত ১০জুন রাতে ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, ১০ বছর পূর্বে তক্তাবুনিয়া গ্রামের মোঃ বজলুর রহমান হাওলাদার এর পুত্র মোঃ শাহাবুদ্দিন হাওলাদার (৩৭) এর সাথে একই উপজেলারা কুকুয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের আঃ হক হাওলাদার এর কন্যা মোসাঃ নাসরিন এর বিবাহ হয়। বিবাহের পর হইতেই যৌতুকের জন্য নাসরিনের স্বামী ও শ্বশুড় শ্বাশুড়ী তাকে নির্যাতন করে আসছিলো।

ঘটনার দিন ১০জুন রাত ৮ টার দিকে নাসরিনের স্বামী মোঃ শাহাবুদ্দিন ও শ্বশুড় শ্বাশুড়ী তাকে তার বাবার বাড়ি হইতে ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা যৌতুক এনে দিতে বললে নাসরিন যৌতুক বাবদ উল্লেখিত টাকা এনে দিতে অস্বীকার করে। তখন স্বামী শাহাবুদ্দিন (৩৭) শশুর বজলুর রহমান (৬৫) শাশুড়ী সাজেদা বেগম (৫০) তার উপর অমানুষিক নির্যাতন করে আটকে রাখে। পরে বাড়ীর পাশের লোকজন এ ঘটনা নাসরিনের মামা আঃ ছালাম আকনকে জানায়।

আ: ছালাম আকন বিষয়টি আমতলী থানা পুলিশকে জানালে থানা পুলিশ রাত ১০ টার সময় ঘটনাস্থলে গিয়ে নাসরিনকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

অভিযোগকারী মোঃ আঃ ছালাম আকন (৪৮) জানান, অভিযুক্তরা যৌতুকের দাবিতে প্রতিনিয়ত আমার ভাগনী নাসরিনের উপর নির্যাতন করে আসছিলো। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শাহাবুদ্দিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, আমি রাগের মাথায় কিছু মারধোর করেছি।

এ ব্যাপারে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন মিলন জানান, এ ব্যাপারে মৌখিক অভিযোগ পেয়ে নির্যাতনের শিকার নারীকে তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠিয়ে আত্মীয়স্বজনের সহযোগিতায় উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

(এন/এসপি/জুন ১১, ২০১৮)