সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর গলাচিপায় চরবাংলা ১৮৫নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোসাঃ রাহিমা বেগম (২২) কে লাঞ্চিত করেছে প্রধান শিক্ষক মোঃ আল-আমিন। চরবাংলা গ্রামের গনি চৌকিদারের ছেলে আল-আমিন চৌকিদার ও একই গ্রামের আলী হাওলাদারে মেয়ে মোসাঃ রাহিমা বেগম।

ঘটনাসূত্রে জানা যায় প্রধান ও সহকারি শিক্ষিকা দু’জনই একই স্কুলে চাকুরীরত এবং স্বামী স্ত্রী। গত ৮ই জুন রোজ শুক্রবার বেলা আনুমানিক ২ টার দিকে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষক চড়াও হয়ে স্ত্রীকে এলোপাথারী ভাবে মারতে থাকে। স্ত্রীর ডাক-চিৎকারে এলাকাবাসী এসে পড়লে প্রধান শিক্ষক পালিয়ে যায়। পড়ে এলাকাবাসী উন্নত চিকিৎসার জন্য সহকারি শিক্ষিকা মোসাঃ রাহিমা বেগম কে গলাচিপা হাসপাতালে এনে ভর্তি করে।

হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তার রাজিব প্রতিবেদককে জানান, সহকারি শিক্ষিকার বাম হাতের কজ্বীতে আঘাত লেগেছে, ডান পায়ের রান এবং মাজায় জোট লেগেছে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালো কালো অনেক দাগ আছে। আমার চিকিৎসাধীনে মহিলা ওয়াডে ১নং বেডে আছে।

এ ব্যাপারে রাহিমা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান আমার স্বামী প্রধান শিক্ষক আমি সহকারি শিক্ষিকা আমাকে স্বামী প্রতি নিয়ত রাতেই মারধর করে। আমি অনেক বার চুপ থেকেছি কিন্তু আমি আর সহ্য করতে পারছি না। আমি আমার বাবা মা ও ভাই বোন দের সব কিছু জানিয়েছি তারা যেটা করবে আমি সেটা মেনে নিব।

এ বিষয়ে রাহিমার বড় ভাই হারুন হাওলাদার জানান, আমি এর আগে এব বার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম। তারা আমাদের বোন- বোনাইকে নিয়ে আপোষ নিষ্পত্তি করে দিয়েছে। তার পর হঠাৎ করে আল-আমিন আবার মেরেছে।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আল-আমিনের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইল তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। চর বিশ্বাস ইউনিয়নে ইউপি সদস্য হাসান সরদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

স্কুলের সাবেক সভাপতি সোহাগ চৌকিদার জানান, বেশ কয়েকবার আল-আমিন ও তার স্ত্রীকে নিয়ে বসা হয়েছে কিন্তু তাদের কাউকেই মানাতে পারছি না।

(ওএস/এসপি/জুন ১১, ২০১৮)