স্টাফ রিপোর্টার : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখে আপিল বিভাগের দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি প্রকাশ হয়েছে।

সোমবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় (নিম্ন) বিচারিক আদালতের সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে হাইকোর্টে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিল।

এর আগে গত ১৬ মে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের করা আপিল খারিজ করে বেগম খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া চার মাসের জামিন বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ।

রায়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে খালেদা জিয়ার আপিল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়া হয়। ওইদিন আপিল বিভাগ শুধুই আদেশের অংশ ঘোষণা করেন। এ অবস্থায় ২৫ দিন পর পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি আজ প্রকাশ করা হয়।

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি মামলাটিতে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছর কারাদণ্ড হয়। একইসঙ্গে, খালেদাপুত্র ও বিএনপির সিনিয়রভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে দণ্ড দেয়া হয়।

রায় ঘোষণার ১১ দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা অনুলিপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ ফেব্রুয়ারি এ আবেদন দায়ের করেন।

১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের দেয়া ওই জামিন স্থগিত চেয়ে পরদিন ১৩ মার্চ আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক।

পরে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত এ দুই আবেদনের শুনানির জন্য ১৪ মার্চ দিন ধার্য করেন। এরপর ১৪ মার্চ আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদককে জামিনের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে) দায়ের করতে বলে চার মাসের জামিন ১৮ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেন। এ আদেশ অনুসারে পরের দিন ১৫ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক লিভ টু আপিল দায়ের করেন।

এ লিভ টু আপিলের ওপর শুনানি হয় ১৮ মার্চ। শুনানি শেষে আবেদনের ওপর আদেশের জন্য ১৯ মার্চ দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। পরে ১৯ মার্চ আদালত লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে আপিল শুনানির জন্য ৮ মে দিন ধার্য করেন। তারপর আপিল শুনানি শেষে ১৬ মে রায় দেন আপিল বিভাগ।

(ওএস/এসপি/জুন ১১, ২০১৮)