সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বারুহাস ইউনিয়নের বিনসাড়া গ্রামের শাহ্ জামাল নামে এক প্রান্তিক কৃষককে রবিবার রাতে থানা হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে উপ-পরিদর্শক নিয়ামুল হকের বিরুদ্ধে।

শাহ্ জামাল বলেন, বিনসাড়া বাজার মসজিদে তারাবির নামাজ আদায় শেষে উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিয়ামুল হক তাকে থানায় নিয়ে আসেন। ধরে আনার পর জানতে পারেন এক যুবককে গুরুতর জখমের মামলায় বেশ কয়েকটি ধারা দিয়ে তাকে আসামি করা হয়েছে। এরপর রাত দুইটার দিকে চরমভাবে শারীরিক নির্যাতন করা হয়।

শাহ জামাল আরো বলেন, নির্যাতনের সময় তার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। একই সঙ্গে তাকে দিয়ে জোরপূর্বক ৭০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নেওয়ার স্বীকারোক্তি আদায় করার চেষ্টা করা হয়।

শাহ্ জামালের শ্যালক ওসমান গণী বলেন, রাত দুইটার দিকেই তার দুলাভাই মোবাইল করে ১০ হাজার টাকা নিয়ে থানায় আসতে বলেন। পরে রাত আড়াইটার দিকে সেহরির খাবার নিয়ে থানায় এলে নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে কান্নায় ভেঙে পরেন নিরাপরাধ শাহ জামাল।

বিনসাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক গাজী সাইদুর রহমান সাজুসহ শতাধিক সাধারণ মানুষ আক্ষেপ করে বলেন, গত শুক্রবার বিকেলে বিনসাড়া বাজারে এক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তী হয়। ওই সময় শাহ জামাল মসজিদে আসরের নামাজ আদায় করছিলেন। অথচ তাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে গুরুতর জখমের মামলার আসামি করা হয়েছে। নির্যাতনের বিষয়টি তারা স্থানীয় সাংসদ গাজী ম ম আমজাদ হোসেন মিলনকেও মৌখিকভাবে অবগত করেছেন।

উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিয়ামুল হক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, লোকটা একটু বেশি আবেগ প্রবন। তাই কান্নাকাটি করছে।

তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর বলেন, থানা হেফাজতে কৃষক নির্যাতনের বিষয়টি সঠিক নয়। মনক্ষুন্ন হয়ে আসামি ও আসামির আত্মীয়-স্বজনরা এ ধরনের অভিযোগ করছেন।

(এমএসএম/এসপি/জুন ১১, ২০১৮)