সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে আনন্দ স্কুলের জুন-আগষ্ট মাসের বিশেষ অনুদানের টাকা বিতরণে  চলছে নানা অনিয়ম ও লুটপাট। উপজেলা প্রশিক্ষণ সমন্বয়কারী প্রশাসনের সহযোগিতায় অনিয়ম ও লুটপাট করলেও দেখার কেউ নেই।

ইতোমধ্যেই তিনি নিয়ম ভেঙ্গে ৩৬টি আনন্দ স্কুলের অনুদানের টাকা শিক্ষকদের না দিয়ে তার ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাব নম্বরে জমা করেছেন। এনিয়ে আনন্দ স্কুলের শিক্ষক, অভিভাবক ও পরিচালনা কমিটির সদস্যদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অবশ্য ব্যক্তিগত হিসাব নম্বরে টাকা রাখার কথা স্বিকার করে তাড়াশ উপজেলা প্রশিক্ষণ সমন্বকারী ফারজানা রবি বলেন, ফেইস-২ প্রকল্পের পরিচালকের মৌখিক নির্দেশে তিনি এ সকল কাজ করছেন।
জানা গেছে, , রস্ক ফেইস -২ প্রকল্পের (রিচিং-আউট -অফ-চিলড্রেন) আওতায় তাড়াশ উপজেলায় ৯০টি আনন্দ স্কুলের জন্য জুন-আগষ্ট/১৪ মাসের, বিশেষ অনুদানের টাকা আসে। অবকাঠামো , ছবি, শিক্ষার্থী ভাতা, পোষাক ভাতা, পরিক্ষা ভাতা, শিক্ষা উপকরণ , শিক্ষকের বেতন , বাড়ি ভাড়া এবং পাটনার অর্গানাইজেশনের অনুদানের টাকা আসার পর ওই প্রশিক্ষণ সমন্বয়কারী স্কুল শিক্ষকদের উপজেলা সদরে ডেকে পাঠান এবং উপজেলা হল রুমে সভা করে তার নির্দেশ মত টাকা তুলে তার হাতে দেওয়ার জন্য বলে দেন।
অথচ আনন্দ স্কুলের প্রতি শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষা উপকরণে ১২০, পরিক্ষা ভাতা ৫০, স্থাপনা ব্যায় ৩৫০০, পোষাক ৪০০, সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষকরা নিয়ম অনুযায়ী তারাই উত্তোলন করবেন এবং কমিটির মাধ্যমে ব্যয়ভার নির্ধারন করবেন। কিন্তু প্রশিক্ষণ সমন্বয়কারী ফারজানা রবি তাড়াশ সোনালী ব্যাংকে দাঁড়িয়ে থেকে শিক্ষকরা টাকা তুললে তিনি তাদের চাকুরী হারানোর ভয় দেখিয়ে আংশিক বেতনের টাকা দিয়ে বাকি টাকা নিয়ে নেন।একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রশিক্ষণ সমন্বকারী শিক্ষকদের দিয়ে কাজ করলে তিনি লাভবান হতে পারবেন না এ জন্য শিক্ষকদের ভবিষতের জন্য নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে তা কেটে রাখছেন। বিষয়টি আনন্দ স্কুলের একাধিক পরিচালনা কমিটির সভাপতিও স্বীকার করেছেন। এ প্রসঙ্গে প্রশিক্ষণ সমন্বকারী ফারজানা রবি বলেন, আনন্দ স্কুলের ভালোর জন্য তিনি যা কিছু করছেন উর্দ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শে করছেন।
এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সোলাইমান আলী বলেন, প্রশিক্ষণ সমন্বাকারী তার সাথে অনেক বিষয়ই সমন্বয় করেন না
(এসএস/এএস/জুলাই ১২, ২০১৪)