মাদারীপুর প্রতিনিধি : কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটের লৌহজং চ্যানেলমুখে নাব্য সংকট দেখা দেওয়ায় বিকল্প চ্যানেলে ড্রেজিং কাজ শুরু হয়েছে। আজ-কালের মধ্যে সংকট নিরসন না হলে ঈদে ঘরমুখো মানুষের বিড়ম্বনায় পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগেই ঘরমুখো মানুষের ভিড় পড়েছে নৌরুটে। যাত্রীদের চাপ মোকাবেলায় ইতোমধ্যেই প্রস্তত রয়েছে নৌযানগুলো। ১৯টি ফেরি, ৮৭ লঞ্চ ও দুই শতাধিক স্পিডবোট চলাচল করছে। ঈদের আগে আরও দুটি ফেরি বাড়ানো হতে পারে বলেও ফেরি কর্তৃপক্ষের দাবী। ঈদকে সামনে রেখে দেশের অন্যতম ব্যস্ত নৌরুট কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়ায় নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। ঘরমুখো মানুষের ঘরে ফেরা নিশ্চিত করতে প্রতিবারের মতো এবারো প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ।

এ বছর ঈদ পুরোপুরি বর্ষা মৌসুমে হওয়ায় বৈরি আবহাওয়া, ভারি বর্ষণ, পদ্মায় পানি বৃদ্ধি ও স্রোতের তীব্রতার মধ্য দিয়েই ঈদে ঘরে ফেরা এবং ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরতে হবে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের। এদিকে, তিনদিন ধরে পদ্মায় বেড়েছে স্রোতের তীব্রতা। স্রোতের সঙ্গে উজান থেকে ভেসে আসছে পলিমাটি।

এই পলিমাটি কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটের চ্যানেল মুখে এসে জমা হয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। নাব্য সংকট প্রকট আকার ধারণ করার আগেই নৌরুটের লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের বিকল্প চ্যানেলে ইতোমধ্যেই ড্রেজিং শুরু করেছে বিআইডব্লিউটিএ।

কে-টাইপ ফেরির কুমিল্লার মাস্টার ইনচার্জ ফারুক হোসেন বলেন, ‘পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে স্রোতের গতিবেগও বাড়ছে। ফলে ফেরি পারাপারে আগের চেয়ে বাড়তি সময় ও জ্বালানি ব্যয় হচ্ছে। আর স্রোতের সঙ্গে পলি ভেসে এসে লৌহজং টার্নিংসহ কয়েকটি পয়েন্টে নাব্য সংকট দেখা দিচ্ছে। দ্রুতগতিতে বিকল্প চ্যানেল তৈরি করা না হলে ঈদের সময় ফেরি পারাপারে বড় ধরণের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।’

বিআইডব্লিউটিসি’র কাঁঠালবাড়ি ঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম মিয়া বলেন, ‘আসন্ন ঈদে নির্বিঘ্নে যাত্রী পারাপারে আমাদের পর্যাপ্ত ফেরি সার্ভিস থাকবে। নদীতে স্রোত বেশি থাকলে মাঝ নদী থেকে শক্তিশালী আইটি জাহাজ দিয়ে ফেরি পারাপার করা হবে।’

(এমআরএস/এসপি/জুন ১২, ২০১৮)