বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটে পছন্দের শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিতে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকসহ ৩ শিক্ষককে বিধি বহির্ভুতভাবে বরখাস্ত করার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিরুদ্ধে। বাগেরহাট সদর উপজেলার সুন্দরঘোনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাজী মতিনুর রহমান ২৪ ঘন্টার নোটিসে ওই ৩ শিক্ষককে বরখাস্ত করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে ব্যাংক থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ করেছেন শিক্ষকরা।

বুধবার বিদ্যালয়ের পরিচালনা সভাপতির এসব অনিয়ম, দুর্নীতি ও সেচ্ছাচারিতা বন্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন বিদ্যালয়ের বরখাস্ত হওয়া তিন শিক্ষক। বরখাস্তকৃত শিক্ষকরা হলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেখ শামীম হাসান, সহকারী শিক্ষক (শরীর চর্চা) শেখ মো. আবদুল ওয়াহাব ও সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) কামরুন্নাহার।

বরখাস্তকৃত শিক্ষকরা জানান, অভিভাবকদের সালাম ও সম্মান প্রদর্শন না করাসহ রমজানে অতিরিক্ত ক্লাস না নেওয়া কয়েকটি কাল্পনিক অভিযোগ এনে আমাদের বিরুদ্ধে ৪ জুন কারণ দর্শানো নোটিস প্রদান করেন সভাপতি। ডাকযোগে পাঠানো ঐ নোটিস আমরা ১০ জুন হাতে পাই। পরের দিন নোটিসের জবাব দেই। অথচ ঐদিনই আমাদের নামে বরখাস্তের আদেশ দেন তিনি। সাথে সাথে সহকারি শিক্ষক মো. শহিদুল্লাহ সরদারকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে আমাদের ৩ ক্ষিকের বেতন ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে তুলে নেন সভাপতি কাজী মতিনুর রহমান।

তারা অভিযোগ করেন সভাপতির অনিয়ম, দুর্নীতি ও নিয়ম বহির্ভুতভাবে পছন্দের শিক্ষক নিয়োগের বিরুদ্ধে কথা বলায় তাদের বিরুদ্ধে এ ধরণের শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। যা বিধি বহির্ভুত ও অমানবিক।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এটা ঠিক হয়নি। বিধি বহির্ভুত ভাবে ৩জন শিক্ষককে এভাবে বরখাস্ত করা যায়না।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কাজী মতিনুর রহমানকে ফোন করা হলে সরাসরি কথা বলবেন বলে এড়িয়ে যান। তবে দ্বিতীয়বার ফোন করা হলে তিনি কোন কথা বলতেই রাজি হননি।

(এসএকে/এসপি/জুন ১৩, ২০১৮)