বাগেরহাট  ও শরণখোলা প্রতিনিধি : বাগেরহাটের শরণখোলায় বাস মালিক সমিতির বসানো যাত্রী হয়রানির  চেকপোষ্টটি ভেঙে দিয়েছে প্রশাসন। বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস ও থানার ওসি মো. কবিরুল ইসলাম স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় রায়েন্দা-তাফাবাড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের চালরায়েন্দায় এলাকায় অবস্থিত ওই চেকপোষ্ট ভেঙে দেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় দুই বছর ধরে ওই চেকপোষ্টের মাধ্যমে শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির লোকেরা শরণখোলার অভ্যন্তরিণ চলাচলকারী অটোভ্যান, ইজিবাইক ও টমটমের যাত্রীদের নামিয়ে হয়রানি করে আসছিলো। দুই বছরে অনেক সারারণ মানুষ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন। এমনকি এলাকার স্কুল-কলেজগামী ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে বহু সম্মানীয় ব্যক্তি লাঞ্চিত ও অপমানিত হয়েছেন চেকপোষ্টে বসা বাসশ্রমিকদের হাতে। চেকপোষ্টটি উঠিয়ে দেওয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। তারা ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রশাসনকেও।

সর্বশেষ গত মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রায়েন্দা পাইলট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুলতান আহম্মদ গাজী তার মেয়েকে নিয়ে ইজিবাইকে রায়েন্দা থেকে তাফালবাড়ি যাওয়ার সময় ওই চেকপোষ্টের সামনে গেলে তাদেরকে ইজিবাইক থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। তাদের সঙ্গে শ্রমিকরা দুর্ব্যবহার করে। এর আগে কয়েকজন নারীকে লাঞ্চিত করার সময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান পারভেজ প্রতিবাদ করায় তারা বাস বন্ধ করে দেয়। পরে প্রশাসনের উদ্যোগে তা নিরসন করা হয়।

সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হোসেন জানান, বাস মাকিক সমিতির পোষা লোকদ্বারা তার ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিও রেহাই পায়নি। চেকপোষ্ট ভেঙে দেওয়ায় সাধারণ মানুষ খুশি হেয়েছে।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস জানান, দীর্ঘদিন ধরে তথাকথিত ওই চেকপোষ্টের নামে একের পর এক যাত্রী হয়রানী ও লাঞ্চিত করার অভিযোগ আসতে থাকে। বিষয়টি বাস মালিক সমিতির নেতাদের জানানোর পরেও তা বন্ধ না হওয়ায় পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহজাহান বাদলের সহযোগীতায় চেকপোষ্টটি উচ্ছেদ করা হয়েছে।

জানতে চাইলে বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি শামীম আহসান পলাশ জানান, যাত্রী লাঞ্চিত করার বিষয়টি সঠিক না। চেকপোষ্ট উচ্ছেদ করায় এ রুটে বাস চলবে কিনা তা ঈদের পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

(এসএকে/এসপি/জুন ১৩, ২০১৮)