গাজীপুর প্রতিনিধি : পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, ঈদ উপলক্ষে যারা রাতে যাত্রা করবেন তাদেরকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়া হবে। এ জন্য রাস্তায় পোশাকে ও সিভিল পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছে। ঈদে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির বিরুদ্ধেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যথেষ্ট তৎপর রয়েছে। ইতোমধ্যে বেশকিছু গ্যাং ধরা পড়েছে। যাত্রীদের রাস্তাঘাটে অপরিচিত কারও কাছ থেকে কোনো কিছু গ্রহণ না করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

বুধবার দুপুরে মহাসড়কে যানজট পরিস্থিতি এবং বেশ কয়েকটি পুলিশ কন্ট্রোল রুম পরিদর্শনকালে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি এসব কথা বলেন।

জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, টঙ্গী থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত পুরো রাস্তার অর্ধেক ড্রেনের নোংরা পানিতে সয়লাব হয়ে আছে। ড্রেনেজ সিস্টেমটা আরও ভালো করা দরকার। অবশ্য কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছেন। তবে সেখানেও একটা ধারণ ক্ষমতা আছে। যখন অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয় তখন তাড়াতাড়ি এ ড্রেনেজ সিস্টেমটা ঠিক মতো কাজ করতে পারে না বলে মনে হচ্ছে। এনফোর্সমেন্টের দায়িত্বে সবগুলো সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করলে আর পানিটা যদি দ্রুতগতিতে বেরিয়ে যেতে পারে তাহলে রাস্তাটি পুরোপুরি ব্যবহার করা যাবে। বর্তমানে যেটুকু রাস্তা আছে এখন এর সবটুকু আমরা ব্যবহার করতে পারছি না।

তিনি আরও বলেন, ঈদ যাত্রায় এখন সবাই গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করছে। নরমাল সময়ে রাস্তায় যেটুকু গাড়ি থাকে এখন তার চাইতে অনেক বেশি গাড়ি রয়েছে। রাস্তার একটা ধারণ ক্ষমতা থাকে। ধারণ ক্ষমতা যখন অতিরিক্ত হয়ে যায় স্বাভাবিকভাবেই একটা প্রেসার থাকবেই। এছাড়াও শুধুমাত্র রাস্তায় ট্রাফিকিংটা একমাত্র পুলিশের ওপরে নির্ভর করে না। এনফোর্সমেনন্টের ওপর নির্ভর করে না। আরও অনেকগুলো ফ্যাক্টর কাজ করে।

আইজিপি বলেন, আমরা প্রত্যেকটা হাইওয়েতে স্পেশাল এরেজমেন্ট করেছি। আমাদের নরমাল জনবলের অতিরিক্ত জনবল দিয়েছি এবং সমন্বিতভাবে আমরা জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, রেঞ্জের রিজার্ভ ফোর্স সবাই মিলেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা বিভিন্ন জায়গায় কন্ট্রোল রুম করেছি। অন্যান্য যারা কাজ করছে তাদের সঙ্গে যাতে আমরা সমন্বয় করতে পারি। এর বাইরে আমাদের কিছু ওয়াচ টাওয়ার আছে, চেক পোস্ট আছে। সব কিছু মিলিয়ে আমরা মনে করছি আমরা যে সব ব্যবস্থাগুলো নিয়েছি নির্বিঘ্নে মানুষ তাদের গ্রামে ফিরে যেতে পারবে। এই ঈদটা মানুষ সঠিকভাবে করতে পারবে বলে আমরা মনে করছি।

এ সময় ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি আতিকুল ইসলাম, ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন) আনোয়ার হোসেন, গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, হাইওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলামসহ পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এসপি/জুন ১৩, ২০১৮)