স্টাফ রিপোর্টার : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বদলে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-সিএমএইচে চিকিৎসার আপত্তি আছে কি না, এই বিষয়টি এখনও জানাননি বেগম খালেদা জিয়া। আর সরকার তার মতামতের অপেক্ষায়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, তারা বিএনপি চেয়ারপারসনের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। তিনি মতামত দিলেই চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বুধবার তেজগাঁও শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্রের দুঃস্থ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের দণ্ড নিয়ে কারাগারে যাওয়া খালেদা জিয়াকে গত ৭ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। গত ১০ মে তাকে আবারও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য এই হাসপাতালে আনার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুতে আসবেন না, যেতে চান বেসরকারি হাসপাতাল ইউনাইটেডে।

মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, কারা খালেদা জিয়াকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রস্তাব দেবেন।

পরদিন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এই প্রস্তাব ফেরানো উচিত হবে না।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে খালেদার জিয়াকে অপশন দেওয়া হয়েছে। আইজি প্রিজন খালেদা জিয়াকে সে সম্পর্কে জানিয়েছেন। খালেদা জিয়া এখনও তার সিদ্ধান্ত জানাননি। তার সিদ্ধান্ত পাওয়া গেলেই, সেই অনুযায়ী তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।’

‘তার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। আমরা আশা করছি, তিনি সিদ্ধান্ত দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।’

কারাগারে যাওয়ার দেড় মাস পর গত ২৮ মার্চ খালেদা জিয়ার অসুস্থতার খবর পাওয়া যায়। তিনি আগে থেকেই ডায়াবেটিক, বাত, চোখ, হাঁটুর সমস্যায় ভুগছিলেন। তার কৃত্রির হাঁটু লাগানো আছে।

গত ১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠন করা হয় মেডিকেল বোর্ড। আর সেই বোর্ডের পরামর্শে বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা মত দেন তার হাসপাতালে ভর্তির অবস্থা নেই।

এর মধ্যে গত ৯ জুন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে এসে তার চারজন ব্যক্তিগত চিকিৎসক জানান, বিএনপি নেত্রী ৫ জুন পড়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সে কথা তার মনে নেই। এ থেকে তারা ধারণা করেন তার মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছিল।

তবে কারা কর্তৃপক্ষ এবং সরকার জনিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর রক্তের চিনি কমে গিয়েছিল। চকলেট খাওয়ানোর পর ঠিক হয়ে যায়। এর পর ১০ এপ্রিল তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে নিয়ে আসতে প্রস্তুতি নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তিনি জানিয়ে দেন, এই হাসপাতালে আসতে তার আপত্তি আছে।

(ওএস/এসপি/জুন ১৩, ২০১৮)