আমতলী এমইউ পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্য
বেতন না পাওয়ায় ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত ২৫ শিক্ষক ৮ কর্মচারী
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি : বরগুনার আমতলী এম ইউ বালিকা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়ে জটিলতার কারণে ডিসেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত ছয় মাস ধরে বেতন-ভাতা না পেয়ে ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হতে চলছে বিদ্যালয়ের ২৫ শিক্ষক ও ৮ জন কর্মচারী।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক শাহ আলম কবিরের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে ব্যবস্থাপনা কমিটি ২০১২ সালে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। ওই বহিষ্কারাদেশের বিরুদ্ধে শাহ আলম কবির আমতলী সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা করেন। মামলায় শাহ আলম হেরে গিয়ে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে একটি রিট মামলা করে।
হাইকোর্ট বহিষ্কৃত প্রধান শিক্ষক শাহ আলম কবিরকে পুনর্বহালের আদেশ দেয়। ওই আদেশেরে বিরুদ্ধে ব্যবস্থাপনা কমিটি সুপ্রিমকোর্টে লিভ টু আপিল করেন। ইতিমধ্যে ওই বিদ্যালয় ব্যবস্থপনা কমিটির নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক এমপি নিজাম উদ্দিন তালুকদারের সহধর্মিণী এলিচ নিজাম। নতুন ব্যবস্থাপনা কমিটি বহিস্কৃত প্রধান শিক্ষক শাহ আলম কবিরের নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র পর্যালোচনা করে অনিয়ম পেয়ে তাকে আর প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করতে দেয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সিনিয়র শিক্ষক বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে ডিসেম্বর হতে ৬ মাস বিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হলেও অদৃশ্য কারণে আমাদের বেতন-ভাতা আটকে রয়েছে।
গত ডিসেম্বর হতে ছয় মাস পর্যন্ত বেতন-ভাতা না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন সাধারণ শিক্ষকরা। ঈদে সন্তানদের একটা নতুন কাপড় কিনে দিতে পারিনি। রমজান মাসে ভালোভাবে দু’বেলা ভাত খেতে পারিনি। এ ব্যাপারে বরগুনা সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার গোলাম হায়দার সেলিম বলেন, হাইকোর্টে মামলা থাকার কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ব্যবস্থাপক শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দিচ্ছে না।
বহিষ্কৃত ওই প্রধান শিক্ষক শাহ আলম কবির বলেন, আমি হাইকোর্টের আদেশে বৈধ প্রধান শিক্ষক। ব্যবস্থাপনা কমিটি খামখেয়ালিভাবে আমাকে বিদ্যালয় যোগদান করতে দিচ্ছেন না। ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এলিচ নিজামকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।
(এন/এসপি/জুন ১৪, ২০১৮)