দীপক চন্দ্র পাল, ধামরাই (ঢাকা) : শেষ মূহুর্তে ঈদকে সামনে রেখে ধামরাইয়ের বিভিন্ন বিপণি বিতান, রেডিমেট পোশাকের দোকান, গার্মেন্টস দোকান,এমনকি ফুটপাতের দোকান গুলিতেও ঈদ বাজার বেশ জমে উঠেছে। নিম্ন আয়ের মানুষ বেশী, ফুটপাতের বেচাকিনি ভালই হচ্ছে।বিষ্টিতে সমস্যা হলেও বেচাকিনি ভালই হচ্ছে বলেন জানান।

গামের্ন্টস পোশাক ব্যবসায়ী বিনয় গোস্বামী বলেন, বিষ্টির কারণে কিছুটা পেছনে পড়েছেন, বেহাকেনা চলছে ভালই জানান।

ক্রেতা জয়া হাসান বলেন জিনিষ ভালই, কাপড়-চোপড় ভালই,কিন্ত আসল কথা দাম প্রচুর বেশী, গরীবদের জন্য কষ্টকর হয়ে যায়।

সিদ্দীক মার্কেটের বড় কাপড় ব্যবসায়ী মহিষাশি বস্ত্রালয়ের মালিক সঞ্জয় বলেন, বেচাকিনি মোটামুটি, তবে টাংগাইল শাড়ি বেশী বিক্রির কথা বলেন।

ধামরাইয়ের পুরাতন ও আর্কষনীয় আধুনিক টেইলার্সের দোকান “ইউর চয়েজ” এর মালিক ও টেইলার্স মাষ্টার মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, গত ২০ রোজা থেকে তারা অর্ডার বন্ধ করে দিয়েছে। যে অর্ডার গুলি রাখা হয়েছে সঠিক সময়ে ডেলিভারী দেবার চেষ্টা করছেন।তিনি বলেন তাদের কারখানায় কারিগররা দিন রাত কাজ করছেন।

ধামরাইয়ে প্রতিটি বিপণি, বিতান দোকানে ক্রেতাদের আকর্ষন বাড়াতে দোকানের সামনে কৃতিম মডেল কাপড় পড়িয়ে আকর্ষণীয় করে রেখেছে।শেষ মূর্হুতে জুতার দোকান ও কসমেটিকস এর দোকানে নিারীদের বেশী ভীড়।বেচা কেনাও বেশী হচ্ছে।

ঈদের দিন যতোই ঘনিয়ে আসছে সকল শ্রেনীর ক্রেতাদের ভীড় যেন প্রতিটি দোকানে বেড়েই চলেছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বেচা কিনিও হচ্ছে বেশ।

তবে বিষ্টি কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি করছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। সারা দিন ভীড় কম থাকলেও বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সব শ্রেণীর ক্রেতাদের ভীড় লেগে থাকে প্রতিটি মার্কেট ও দোকান গুলিতে।ক্রেতারও যথেষ্ট সর্তক । তারা এক দোকান থেকে আরেক দোকানে ছুটছে ভাল কিন্তু একটু কম দাম পাবার আশায়।

জুতা স্যান্ডেল, জিনসের প্যান্ট ইত্যাদির ও দেশী পোষাকের পাশা-পাশি বিদেশী পোষাকের বিক্রিও ভালই হচ্ছে বলে দোকানীরা বলেন।

মহিলারা কাপড় কসমেটিকের দোকানে ভীড় করছে বেশী, কিনছে পছন্দের জিনিষ। ইমিটেশনের গহনা ও কসমেটিক্স কিনছে মহিলারা। সকল অভিভাবদেরও একই কথা তাদের বাবুদের পছন্দের জিনিষ কেনার পর তাদেরটা।

(ডিসিপি/এসপি/জুন ১৪, ২০১৮)