চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সাত উপজেলার প্রায় ৬০ গ্রামের মানুষ আজ শুক্রবার (১৫ জুন) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন। বেশ কয়েক বছর ধরেই তারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ পালন করে আসছেন।

জেলার চন্দনাইশস্থ জাহাঁগিরিয়া শাহ্সুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফ ও সাতকানিয়া উপজেলার মির্জারখিল দরবার শরিফের মুরিদরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে অতীতের মতো ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন। দুই দরবার শরিফের মুরিদরা রোজা পালনও একদিন আগে (সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে) শুরু করেন।

মির্জাখিল দরবার শরীফের মুখপাত্র ও মির্জাখিল উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক বজলুল করিম চৌধুরী জানান, মির্জাখিলের প্রায় পুরো গ্রামের মানুষ শুক্রবার (১৫ জুন) জুমার নামাজ আদায় এবং ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন। প্রায় ২০০ বছর ধরে মির্জাখিল দরবার শরিফের মুরিদরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে রোজা পালন, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপন করে আসছেন।

জানা যায়, মির্জারখিল দরবার শরিফের প্রতিষ্ঠাতা শাহ জাঁহাগীর হজরত শেখুল আরেফীন প্রায় ২০০ বছর আগে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে তারাবির নামাজ আদায়, রোজা পালন, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহাসহ যাবতীয় ধর্মীয় দিবস পালন শুরু করেন। এরপর থেকে তার খলিফা ও মুরিদরা একই নিয়মে ঈদুল ফিতরসহ অন্যান্য ধর্মীয় দিবস পালন করে আসছেন।

দরবার শরিফ সূত্র মতে, সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখিল, চরতি, সুইপুরা, বাজালিয়া, মনেয়াবাদ, পুরানগড়, গাটিয়াডেঙ্গা, মার্দাশা, রূপনগর, আলীনগর, সাতকানিয়া সদর; চন্দনাইশ উপজেলার বরকল, কেশুয়া, চর বরমা, হাশিমপুর, দোহাজারী, হাছনদণ্ডী, বাইনজুরি, কানাইমাদারি, সাতবাড়িয়া, চন্দনাইশ সদর, কাঞ্চননগর, পূর্ব হারালা; বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি, চাম্বল, ডোংরা, কালিপুর, শেখেরখিল, ছনুয়া, ভাদালিয়া, বড়ঘোনা; লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি, আধুনগর, চাকফিরানী, আমিরাবাদ, পুঁটিবিলা, কলাউজান, বড়হাতিয়া; আনোয়ারা উপজেলার বরুমছড়া, তৈলারদ্বীপ, খাসহামা, কাটাখালী এবং বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলার কয়েকটি গ্রামসহ চট্টগ্রামের সাত উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ আজ (শুক্রবার) ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় ও ঈদ উদযাপন করবেন।

কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের জাহাঁগিরিয়া শাহ্সুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের শাহজাদা মাওলানা মোহাম্মদ মতি মিয়া মনসুর জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও হানাফী মাজহাব মতে বিশ্বের কোথাও চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে এ দরবারের অনুসারীরা ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহাসহ সকল ধর্মীয় উৎসব পালন করবেন।

(ওএস/এসপি/জুন ১৫, ২০১৮)