নিউজ ডেস্ক : প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক অনেক বেশি আবেগপ্রবণ হয়। সামান্য কারণেই এই সম্পর্কে আসতে পারে টানাপোড়ন। যদিও সম্পর্ক একজনের দ্বারা তৈরি হয় না তারপরও সম্পর্কে দুজনের আলাদা আলাদা ভাবে কিছু দায়িত্ব পালনের প্রয়োজন রয়েছে।

দুটি মানুষের মনের মিল থেকে যেমন সম্পর্কে মধুরতা আসে, তেমনই প্রত্যেকের আলাদা ভাবে সহযোগিতা এবং সহানুভূতিমূলক মনোভাবের কারণেও সম্পর্কে মধুরতা থাকে।

তাই নিজের দিক থেকে চেষ্টা করতে হবে দুজনকেই। প্রেমিক-প্রেমিকা কিংবা স্বামী-স্ত্রীকে নিজের দায়িত্ব বুঝে নিয়ে পালন করতে হবে। আজকে চলুন দেখে নেয়া যাক সম্পর্ক সুন্দর রাখতে ছেলেরা যে কাজগুলো করতে পারেন সেগুলো। এই কাজগুলো করা আসলে পুরুষেরই দায়িত্ব।

নিজে থেকে দায়িত্ব নিন
আপনার সঙ্গিনী যদি আপনাকে প্রতিনিয়ত আপনার দায়িত্বে অবহেলা ধরণের কথা শোনাতে থাকেন তবে সম্পর্কে বিতৃষ্ণা চলে আসবে আপনার সঙ্গীর এবং আপনার নিজেরও। কিন্তু এভাবে বলার কারণটা কি একবার ভেবে দেখেছেন? আপনি নিজে থেকে দায়িত্ব নিচ্ছেন? নিজ থেকে দায়িত্ব নেয়ার চেষ্টা করে দেখুন। আপনার নিজের যে সকল দায়িত্ব পালন করতে হয় তা আপনার সঙ্গী বলার আগেই পালন করুন। এতে সম্পর্ক থাকবে মধুর।

নেতৃত্ব দেয়ার কাজটি করুন
নেতৃত্ব দেয়া এবং কর্তিত্ব ফলানোর মধ্যে পার্থক্য বুঝে নিন প্রথমে। তারপর নেতৃত্ব দেয়ার কাজটি করুন। মেয়েরা এই নেতৃত্ব সূচক কাজগুলোর জন্য ছেলেদের প্রতিই নির্ভরশীল থাকেন। তবে কখনো কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়ার ভুলটি করতে যাবেন না।

ভালোবাসা প্রকাশ করুন
ছেলেরা অনেক সময়েই নিজের ভালোবাসা প্রকাশে ব্যর্থ হন। মনে করে থাকেন প্রেমিকা বা স্ত্রী তো জানেনই আপনি তাকে ভালোবাসেন তাহলে বারবার বলার কোনো প্রয়োজন নেই। কিন্তু মেয়েরা তার সঙ্গীর কাছ থেকে এই ভালোবাসাপূর্ণ আচরণ আশা করে থাকেন সব সময়। আপনার ভালোবাসা প্রকাশ যতো অদ্ভুতই হোক না কেন তিনি তা পছন্দ করবেন। তাই নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করুন।

বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলুন
মেয়েরা অনেক কথাই মুখ ফুটে বলতে পারেন না। বিশেষ করে নিজের সঙ্গীর কাছে মেয়েরা অনেক কথাই লুকান। কারণ সঙ্গীর কাছ থেকে সেই নির্ভরতা পান না। অনেক কথাই না বলাই উচিৎ বলে মনে করেন। এবং মনে মনে কষ্ট পান। কিন্তু যদি ছেলেরা তার প্রেমিকা বা স্ত্রীর সাথে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরিতে কাজ করেন তবে এই ধরণের সমস্যা অনেকাংশে দূর হবে। আপনার মধ্যে নির্ভরতা খুঁজে পেলে আপনার ভালোবাসার মানুষটি আপনার সাথেই সুখী থাকবেন।

(ওএস/অ/জুলাই ১২, ২০১৪)