ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা : গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬ জন যাত্রী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৩০ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে। সময়ের ব্যবধানে দফায়-দফায় নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। অতিরিক্ত যাত্রী, হাইস্প্রিড ও ড্রাইভারের ঘুমের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যায়। দুর্ঘটনার প্রায় দেড় ঘন্টা পর রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। 

সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকা থেকে রানীশংকৈলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা আলম এন্টারপ্রাইজ (ঢাকা মেট্রো-১৪-৬৪২২) যাত্রীবাহী একটি নৈশ্যকোচ শনিবার ভোর ৪টার দিকে পলাশবাড়ী সদরের ব্র্যাকমোড়ের নামক স্থানে পৌঁছিলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের বামে একটি বিশাল গাছের সাথে সজোরে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই ৭ জন যাত্রী নিহত হয়। এ ঘটনায় আরো ৩০ যাত্রী গুরুতর আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে আরো ৯ জন যাত্রী নিহত হয়। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১৬ জন। প্রাথমিক ভাবে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।

আহতদের মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা সুমন (৩৫), মঞ্জুর (৩৫), ঠাকুরগাওয়ের নুর আলম (৩০), রুবেল (৩৫), মমতা বেগম (৩৫), নিলফামারীর হাফিজুর রহমান (৪০), সুরেশ (৫০), চয়ন (৮), সিরাজগঞ্জের বাদশাহ (৩৫), টাঙ্গাইলের আবু সাইদ (৩৫), তেতুলিয়ার আশরাফুল (৩৫), দিনাজপুরের নাইম ইসলাম (৩৫), যশোরের আলী হোসেন (৪০)।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ডিফেন্স, হাইওয়ে ও থানা পুলিশসহ অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী-সংস্থা ছাড়াও স্থানীয়দের সহায়তায় সামগ্রিক উদ্ধার তৎপরতা চালায়। আহতদের উদ্ধার করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি গুরুতর আহতদের মধ্যে অধিকাংশদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে চিকিৎসকরা জানায়।

খরব পেয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল, পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া, হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোস্তাফিজার রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আরিফ হোসেন, থানা অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল আলম ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহীনুর আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন। এ সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষনিক নিহত প্রত্যেক পরিবারের মাঝে ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়।

(এসআইআর/এসপি/জুন ২৪, ২০১৮)