উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : মুক্তিযোদ্ধারা লাবিবুর রহমান ও সরোয়ার লালটুর নেতৃত্বে কাদের বাহিনীর পাঁচ ও এগার নম্বর কোম্পানি নাগরপুর থানার উপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের ঝটিকা আক্রমণের মুখে পুলিশরা আত্আফসার উদ্দিনের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পাকবাহিনীর একটানা বিয়াল্লিশ ঘন্টা যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে পাকবাহিনীর ১২৫ জন সেনা নিহত হয়। এই যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধারা আফসার উদ্দিনকে ‘মেজর উপাধি’ প্রদান করে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিলদার মতিন মর্টারের সাহায্যে পাকসেনাদের লক্ষীপুরের বাগবাড়ি ক্যাম্প আক্রমণ করে। এ আক্রমণে কয়েকজন পাকসেনা আহত হয়।

মৌলভীবাজারে মুক্তিযোদ্ধারা হ্যান্ড গ্রেনেডের সাহায্যে বিয়ানীবাজার থানা সার্কেল অফিস আক্রমণ করে। সফল আক্রমণ শেষে মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদে তাঁদের ঘাঁটিতে ফিরে আসে ফিরে আসে।

মৌলভীবাজারে মুক্তিবাহিনী সমনবাগ চা বাগানের কারখানা আক্রমণ করে। এতে ১০ জন প্রহরী ও হানাদার বাহিনীর ৫ জন দালার নিহত হয়।

বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম জেদ্দায় ইসলামী সম্মেলন সংস্থার মহাসচিব টেংকু আবদুর রহমানের কাছে প্রেরিত তারবার্তায় বাংলাদেশে চলমান গণহত্যা বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

জেদ্দায় অনুষ্ঠিত ২২ জাতি ইসলামী সম্মেলনে পাকিস্তানের জাতীয় ঐক্য ও আঞ্চলিক অখন্ডতা রক্ষার প্রচেষ্টার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করা হয়।

ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিং লোকসভায় বক্তৃতাকালে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সেনাবাহিনী প্রেরণের আহ্বান জানান।

মুসলিম লীগ প্রধান আব্দুল কাইয়ুম খান দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতায় বলেন, ‘দেশ এক গভীর সংকটের মধ্যে দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। কাজেই দ্বিধাবিভক্ত মুসলিম লীগকে এক পতাকাতলে সমবেত হয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে।’ কাইয়ুম খান আরো বলেন, বাংলাদেশ আন্দোলনের সমর্থকরা বিচ্ছিন্নতাবাদী মুজিবকে পাকিস্তানের সংহতি নষ্টকারী আন্দোলনে সহায়তা করছে।’

তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
(ওএস/এএস/জুন ২৫, ২০১৮)