নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর মান্দায় সরকারি রাস্তার সম্পত্তি দখল করে সাতটি পাকাঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। উপজেলার ভালাইন ইউনিয়নের আঁয়াপুর বাজার মোড় নামকস্থানে ঘরগুলো নির্মাণ করছেন স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ভূমিদস্যু। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভূমি অফিসের সহযোগিতায় ঘরগুলো নির্মাণ করছেন তারা।

শনিবার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদেকুর রহমান। তিনি বলেন, স্থাপনা নির্মাণের সরকারি সম্পত্তি তার দপ্তরের আওতাভূক্ত নয়। এটি জেলা পরিষদের সম্পত্তি। কাজেই উল্লেখিতস্থানে নির্মাণ কাজে ভূমি অফিসের সহায়তা করার অভিযোগটি একেবারেই অবান্তর বলে দাবি করেন তিনি।

জানা গেছে, উপজেলার কালিকাপুর বাজার থেকে বৈদ্যপুর পাকারাস্তার আঁয়াপুর বাজার মোড়ে সরকারি সম্পত্তি দখল করে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি পাকাঘর নির্মাণ করছেন। এরা হলেন, তোতা মিয়া, হাসান আলী ভাদু, মোস্তফা, মোজাফফর হোসেন, বজলুর রশিদ, বুলবুল হোসেন ও রাজু আহমেদ। এছাড়া আঁয়াপুর আইডিয়াল ক্লাবের নামেও আরেকটি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোপূর্বে একই জায়গায় আরো তিনটি পাকাঘর নির্মাণ করা হয়েছে।

আঁয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোমেন্দ্রনাথ হাজরা জানান, বিদ্যালয় মাঠের সম্পত্তি দখল করে ঘরগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে, এমন সন্দেহে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাধ্যমে উপজেলা ভূমি অফিসে অভিযোগ করেন তিনি। পরে সরকারি সার্ভেয়ার দিয়ে জরিপ করে দেখা গেছে, এটি স্কুলের নয়, সরকারি সম্পত্তি। এসময় সার্ভেয়ার সরকারি সম্পত্তিতে স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে চলে যান। এরপরও দখলকারীরা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ, পরানপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা বজলুর রশিদ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে দখলকারীদের নির্মাণ কাজে সহায়তা করছেন। তবে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা বজলুর রশিদ টাকা নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, সরকারি সার্ভেয়ার দিয়ে পরিমাপ করে দেখা গেছে, জমিটি ভূমি অফিসের নয়, এটি জেলা পরিষদের সম্পত্তি।

এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন উপজেলা ভূমি অফিসে দাখিল করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। দুপুরে এবিষয়ে নওগাঁ জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পাবার পর লাইন কেটে দিয়ে ফোনটি বন্ধ করে দেন তিনি।

(বিএম/এটিআর/জুলাই ১২, ২০১৪)