রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে এক পুলিশ সদস্যের জামিন আবেদন নাকচ করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার সাতক্ষীরার আমলী আদালত -৩ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক রাজীব রায় এ আদেশ দেন।

জামিন না’মঞ্জুর হওয়া আসামীর নাম সিরাজুল ইসলাম। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার নিশ্চিন্তপুর উপজেলার কাচিরগাতি গ্রামের ফজলুল হকের ছেলেও ঢাকা পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ৯৯৯ জাতীয় জরুরী সেবা বিভাগে কর্মরত।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১২ ফেব্র“য়ারি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সাত্তার মোড়লের মেয়ে রেখা সুলতানা নদীর সঙ্গে সুনামগঞ্জ জেলার নিশ্চিন্তপুর উপজেলার কাচিরগাতি গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে সিরাজুল ইসলামের বিয়ে হয়। বর্তমানে মিম নামে তাদের দেড় বছরের একটি মেয়ে আছে। যৌতুকের দাবিতে সিরাজুল ও তার বোন হালিমা বেগম মাঝে মাঝে রেখা সুলতানাকে নির্যাতন করতো।

চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টার দিকে বাপের বাড়ি থেকে তিন লাখ টাকা আনার জন্য রেকা সুলতানাকে চাপ সৃষ্টি করে সিরাজুল ও তার বোন হালিমা। টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করায় হালিমাকে পিটিয়ে জখম করে সন্তানসহ বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গত ২৬ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে সিরাজুল ও হালিমা টাকা নেওয়ার জন্য রেখা সুলতানার বাপের বাড়িতে আসে। একপর্যায়ে টাকা না নিলে তাকে তালাক দেওয়া হবে বলে জানিয়ে যায়।

এ ঘটনায় গত ১০ মে রেখা সুলতানা বাদি হয়ে সাতক্ষীরা আমলী আদালত-৩ এ যৌতুকের মামলা দায়ের করেন। মামলায় সিরাজুল ও তার বোন হালিমাকে আসামী করা হয়। বিচারক শুনানী শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে শমন জারির নির্দেশ দেন। শমন পেয়ে তারা দু’জন সোমবার আদালতে এসে জামিনের আবেদন জানালে বিচারক রাজীব রায় সিরাজুলকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামী হালিমাকে আগামি ধার্য তারিখ পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।

বাদি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. আশরাফুজ্জামান, অ্যাড. বাসারাতুল্লাহ ঔরঙ্গী, অ্যাড. তারক নন্দী, অ্যাড. হাবিব ফেরদৌস শিমুল।

আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. শাহ আলম ও অ্যাড. আল আমিন।

(আরকে/এসপি/জুন ২৫, ২০১৮)