স্পোর্টস ডেস্ক : নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে অসহায় আত্মসমর্পনে চতুর্থ স্থানে এসে থামল নেইমারহীন ব্রাজিলের দুঃখ যাত্রা। জার্মানির বিপক্ষে লজ্জাজনক হারের পর এদিনও একপেশে ম্যাচের হারটায় সেলেকাওদের সমর্থকদের হৃদয় আরও দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়ে পড়লো। আবারও দুঃস্বপ্ন তাড়া করলো ব্রাজিল দলকে। আর শেষ ম্যাচে জয় নিয়ে তৃতীয় স্থানটা দখল করেছে ডাচরা।

রবিবার বাংলাদেশ সময় রাত দুইটায় ব্রাসিলিয়ার এস্টাডিও ন্যাসিনিওল স্টেডিয়ামে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে স্বাগতিকদের ৩-০ ব্যবধানে হারালো নেদারল্যান্ডস।

ব্রাজিল ও নেদারল্যান্ডসের জন্য এটা ছিল চতুর্থ বারের মত তৃতীয় স্থানের লড়াই। শিরোপার দৌড় থেকে বিচ্ছিন্ন এই ম্যাচে বড় কোন অর্জনের স্বপ্ন হয়তো ছিল না কারো। তবু সেমিফাইনালে জার্মানরেদর বিপক্ষে হতাশার হারের দুঃখ লাঘবের চেষ্টাটা হয়ত ছিল ব্রাজিলের। কিন্তু ফুটবল বিধাতা যে লিখে রেখেছিলেন ব্রাজিলের পরাজয়ের আরেকটি দিন। তাই এদিন ম্যাচের শুরুতেই ধাক্কা খায় সেলেকাওরা। আর ম্যাচের ১৬ মিনিটের মধ্যেই ২ গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে তারা। তারপর আর ম্যাচে ফেরা হয়নি স্বাতিকদের। শেষ পর্যন্ত ব্রাজিলের জালে তিনবার বল জড়িয়ে জয় তুলে নিয়েছে ফন গলের শিষ্যরা। আর ব্রাসিলিয়ার ন্যাসিনিওল স্টেডিয়ামে দুঃস্বপ্নময় দিতীয় পরাজয়ের মাধ্যমেই সমাপ্তি হল স্বাগতিকদের বিশ্বকাপ যাত্রার।

ম্যাচে ওই প্রথম ষোল মিনিট ছাড়া বাকিটা সময় লড়াই করেছে স্বাগতিকরা। কিন্তু বারবার নেদারল্যান্ডসের বিপদ সীমানায় আতঙ্ক জাগানো ছাড়া আর কোন সফলতা পায়নি অস্কার-হাল্কদের প্রচেষ্টা। আর স্কলারির মন্ত্রে আবারও উজ্জীবীত হতে ব্যর্থ হয়েছে নেইমারহীন সিলভা বাহিনী। আর শেষ দিকে অতিরিক্ত সময়ে আরও একটি গোল হজম করে লজ্জাজনক হার দিয়ে বিশ্বকাপের সমাপ্তিটা টানল ব্রাজিল। বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে শুরু করে দুর্দান্তভাবে সেমিফাইনালে পাড়ি দেয়া দলের সব স্বপ্নে সমাধি হল টানা দুই পরাজয়ে। তাই অনেক দিনই হয়ত এই স্মৃতি দুঃস্বপ্নে মত তাড়া করবে তাদের।

ম্যাচের বয়স দুই মিনিট হতেই পেনাল্টি পায় নেদারল্যান্ডস। এসময় ফন পার্সির পাসে বল নিয়ে রোবেন বিপদ সীমানায় ঢুকে পড়ার মুহূর্তে তাকে অবৈধভাসে বাধা দেন ব্রাজিলের সেন্টার ব্যাক থিয়াগো সিলভা। ফলে রেফারি হাইমোদি পেনাল্টির রায় দেন। পেনাল্টি থেকে গোল করে ডাচদের এগিয়ে নিয়ে যান ফন পার্সি। ১৬ মিনিটে ডেলি ব্রেডলির গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ডাচরা। তারপর সময়টাতে ব্রাজিল বারবার নেদারল্যান্ডসের ডি বক্সের ডান ও বাঁ প্রান্তে আক্রমণ রচনা করেছে। কিন্তু সফলতা পায়নি। অবশ্য শেষ দিকে সফলতা আবারও পেয়েছে ডাচদের আক্রমণ। ৯১ মিনিটে রোবেনের চমৎকার ক্রসে পা ছোঁয়ান তার সতীর্থ জর্জিনি উইজনালডুম। আর তাতেই ৩-০ ব্যবধানের পরাজয়ের মঞ্চটা রচিত হয়ে যায় স্কলারির শিষ্যদের।

(ওএস/অ/জুলাই ১৩, ২০১৪)