স্পোর্টস ডেস্ক : ব্রাজিলের প্রাণভোমরা নেইমার। কোয়ার্টার ফাইনালেই শেষ হয়েছিল ২২ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ডের বিশ্বকাপ। কলম্বিয়ার হুয়ান জুনিগার দেওয়া আঘাতে ছিটকে পড়েছিলেন আসর থেকে। সেমিফাইনালে খেলতে পারেননি নেইমার। তবে শনিবার রাতে ব্রাজিল-নেদারল্যান্ডস স্থান নির্ধারণী ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে ছিলেন। ডগআউটে ব্রাজিলের সাইড বেঞ্চে বসেছিলেন। সেখানে বসেই দেখলেন জার্মানির পর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও দলের অসহায় আত্মসমর্পণ। নেইমার ঝরিয়েছেন চোখের জল।

কলম্বিয়ার বিপক্ষে শেষ চারে ওঠার লাড়াইয়ে ব্যাথা পেয়েছিলেন নেইমার। ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিট ২ আগের ঘটনা। মাঝ মাঠে বল দখলে নিতে ব্যস্ত ছিলেন নেইমার। পেছন থেকে বেপরোয়া লাফিয়ে উঠেছিলেন কলম্বিয়ান ফুটবলার হুয়ান জুনিগা। জুনিগার হাঁটুর আঘাত লেগেছিল নেইমারের মেরুদণ্ডে। শেষ হয়ে গিয়েছিল ব্রাজিল সুপারস্টারের বিশ্বকাপ। স্ট্রেচারে করে তখনই মাঠ ছাড়তে হয়েছে, ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। ব্রাজিলিয়ান দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার বলেছিলেন,‘অস্ত্রোপচারের মতো আঘাতটা গুরুতর না হলেও নেইমারের মেরুদণ্ডের তৃতীয় কশেরুকার কাছে ভাঙন দেখা গেছে। এটা সারিয়ে তুলতে বিশ্রাম প্রয়োজন।’ খবরটা শুনে হতাশ হয়েছিল ব্রাজিলের কোটি কোটি সমর্থক।

নেইমারের অনপুস্থিতিতে বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে যা ইচ্ছে তা অবস্থা ছিল ব্রাজিলের আক্রমণভাগে। সঙ্গে আবার ২ ম্যাচে হলুদ কার্ড পাওয়ায় ছিলেন না অধিনায়ক থিয়াগো সিলভাও। ব্রাজিলের রক্ষণভাগও ছিল দুর্বল। যে সুযোগ কাজে লাগিয়েছে জার্মানি। ম্যাচে ৭-১ গোলের লজ্জাজনক হার হয়েছিল ব্রাজিলের। এ লজ্জা কিছুটা হলেও স্থান নির্ধারণী ম্যাচে কাটাতে চেয়েছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরেছে ৩-০ গোলে। চতুর্থ স্থান নিয়েই শেষ হয়েছে স্বাগতিকদের বিশ্বকাপ মিশন।

(ওএস/এইচআর/জুলাই ১৩, ২০১৪)