মাদারীপুর প্রতিনিধি : প্রবল বাতাসে উত্তাল হয়ে উঠেছে পদ্মা নদী। পদ্মা উত্তাল থাকায় মাদারীপুর শিবচরের কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটে লঞ্চ, স্পিডবোট বন্ধ রয়েছে। তাই ঢাকার উদ্দেশ্যে যেতে যাত্রীরা ঝুঁকছে ফেরিতে। যাত্রী চাপ বাড়ায় দেখা দিয়েছে ফেরি সংকট। 

এদিকে বুধবার সকালে ঢেউয়ের আঘাতে শিমুলিয়া থেকে কাঁঠালবাড়ীতে আসার পথে মাঝ পদ্মায় ১৮ জন যাত্রী নিয়ে একটি স্পিডবোট ডুবে যায়। ঢেউয়ের আঘাতে শামীম এন্টারপ্রাইজের একটি স্পিডবোট ডুবে যায়। কতজন যাত্রীদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে তা জানা যায় নি। তবে কাঠালবাড়ি ঘাট কর্তৃপক্ষ দাবী করেন ডুবে যাওয়া সকল যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। স্পিডবোটের মালিক মাওয়া পাড়ের শামীম মাদবর। দুর্ঘটনা কবলিত ওই স্পিডবোটটির চালক ছিলেন সুমন মিয়া।

বিআইডব্লিউটিএর কাঁঠালবাড়ী লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, বুধবার সকাল সোয়া নয়টার দিকে শিমুলিয়া থেকে কাঁঠালবাড়ী আসার পথে একটি যাত্রী নিয়ে স্পিডবোট ডুবির ঘটনা ঘটেছে। তবে যতটুকু জেনেছি, যাত্রীদের উদ্ধার করা গেছে। এছাড়াও সকাল ৯টা থেকে বৈরি আবহাওয়ার কারণে বন্ধ রয়েছে লঞ্চ, স্পিডবোট চলাচল।

ঘাটে আটকে পড়া যাত্রী সিমা আক্তার জানান, সকালে কাঠালবাড়ি ঘাটে এসে পৌছেছি। বৈরি আবহাওয়ার কারণে সকাল থেকে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করে সংশ্লিষ্টরা। তাই এখন ঘাট এলাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, পদ্মা উত্তালের জন্য নদীর মাঝে আটকে পড়েছে প্রায় ৪টি ফেরি। ওই সকল ফেরিতে অতিরিক্ত যাত্রী ও যানবাহন বোঝাই। সামান্য ঢেউয়েই ফেরিগুলো দোল খায়। এ সময় যাত্রীরা কান্না কাটি ও বেশি মাত্রা ছোটাছুটি করে। যে কারণে মূল নদী পাড়ি দিতে পারছে না বলে ঘাট সূত্রে জানা গেছে।

বিআইডব্লিউটিএর কাঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌ রুটের দায়িত্বরত সহকারী পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন জানান, বুধবার সকাল থেকে বৈরি আবহাওয়া দেখা দেয়। এতে সকালে মাওয়া প্রান্তে প্রবল ঢেউয়ের আঘাতে স্পিডবোটের তলা ফেটে যায়। যাত্রী নিয়ে বোট ডুবে যায়। ওই বোটে ১৮ যাত্রী ছিল। দ্রুত সকল যাত্রীকেই উদ্ধার করা হয়েছে। এ কারণে ৯টার কিছুপর থেকে এ রুটের লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এরপর দুপুর ২টা পর্যন্ত আবহাওয়া একই অবস্থা বিরাজ করছে। বৈরি আবাওয়া কেটে গেলে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল শুরু হবে। এ রুটে ৮৭টি লঞ্চ ২শতাধিক স্পিডবোট এবং ১৯টি ফেরি চলাচল করছে।

বিআইডব্লিউটিএ কাঠালবাড়ি ফেরিঘাটের সহকারী ম্যানেজার রুহুল আমিন জানান, সকাল থেকে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকায় ফেরিতে যাত্রী পার করতে হচ্ছে। যে কারণে যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। তাই যাত্রী চাপ সামাল দিতে মাওয়া থেকে দ্রুত শিমুলিয়া প্রান্ত থেকে ফেরি এনে কাঠালবাড়ি-শিমুলিয়া রুটে যাত্রী পারাপার করতে হচ্ছে।


(এএসএ/এসপি/জুন ২৭, ২০১৮)