লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়ায় স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে লোহাগড়া থানা পুলিশ একজন শিক্ষককে আটক করেছে। আটক শিক্ষক মেহেদী হাসান (রিজন) উপজেলার লাহুড়িয়া ইউপির ডহরপাড়ার কামরুজ্জামানের ছেলে এবং আমাদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দিঘলিয়া ইউপির নোয়াগ্রামের হিমায়েত শিকদারের মেয়ে শামীমা আক্তার(২২) এর সাথে লাহুড়িয়া ইউপির ডহরপাড়ার কামরুজ্জামানের ছেলে মেহেদী হাসান(৩২) এর ৬ মাস পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পর ওই দম্পতি লোহাগড়া পৌর শহরের লক্ষ্মীপাশা গ্রামের নূর ইসলামের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিল।

বিয়ের পর থেকে যৌতুকলোভী স্বামী মেহেদী স্ত্রীর নিকট যৌতুক চেয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। নির্যাতনের এক পর্যায়ে শামীমা তার পিতার কাছ থেকে যৌতুক বাবদ ২ লক্ষ টাকা এনে দেয়। এই টাকায় মন ভরে নাই যৌতুকলোভী স্বামী মেহেদীর। গত ১১জুন জমি কেনার কথা বলে ফের স্বামী মেহেদী স্ত্রী শামীমার নিকট অর্থ দাবী করে। কিন্তু শামীমার পরিবারের পক্ষে টাকা যোগাড় করা সম্ভব না হওয়ায় স্বামী মেহেদী, তার ভাই ফরিদুজ্জামান(বাবলু) এবং তার স্ত্রী কাজল বেগম পরস্পর যোগসাজগে শামীমার ওপর অমানসিক নির্যাতন করে। এতে করে, শামীমা গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় শামীমা বাদী হয়ে ২৫ জুন লোহাগড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও লোহাগড়া থানার এসআই আতিক আহম্মেদ এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে গতকাল বুধবার বিকালে রামপুর নিরিবিলি পিকনিক স্পটের সামনে থেকে যৌতুকলোভী স্বামী মেহেদীকে আটক করেছেন।

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

(আরএম/এসপি/জুন ২৭, ২০১৮)