রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বিনেরপোতা, মাগুরা ও গোপীনাথপুরে বেতনা নদীর দু’ ধার দখলের প্রতিযোগিতা চলছে। একটি প্রভাবশালী চক্র আর্থিক সুবিধা নিয়ে এসব দখলে সহযোগিতা করছে। যত্রতত্র বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চিংড়ি ঘের তৈরি হওয়ায় নদী ক্রমশঃ সংকুচিত হচ্ছে।

নদীর তলদেশে পলি জমে উঁচু হচ্ছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে বিলের পানি নদীতে পড়তে না পেরে জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। আমন ধানের ফসল নষ্ট হচ্ছে। নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ পেশা পরিবর্তন করে এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে। ব্যহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। যাতায়াত ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। অবিলম্বে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে নদী খনন না করা হলে সাতক্ষীরা ও কলারোয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল ক্রমশঃ স্থায়ী জলাবদ্ধতায় রুপ নেবে। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের দুর্গতির শেষ থাকবে না। শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হবে। যাতায়াত ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। তাই সাধারণ মানুষকে দুর্দশামুক্ত করতে অবিলম্বে বেতনা খনন করার আগে দু’ ধারের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার বিকল্প নেই।

বৃহষ্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া স্মারকলিপিতে বেতন বাঁচাও আন্দোলন কমিটির নেতৃবৃন্দ এসব কথা তুলে ধরেন।

স্মারকলিপি পেশকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাতক্ষীরা জেলা শাখার সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, বেতনা বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সভাপতি আবেদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, সদস্য অজিত কুমার রাজবংশী, মোঃ এনামুজ্জামান নিপ্পন, নির্মল সরকার, মোঃ আল আমীন প্রমুখ

(আরকে/এসপি/জুন ২৮, ২০১৮)