কক্সবাজার প্রতিনিধি : বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ডে (জিরো লাইনে) অবস্থানরত কয়েক হাজার রোহিঙ্গাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে ফিরিয়ে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। বিজিপি’র মংডু আঞ্চলিক কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন টুয়ে এ আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কক্সবাজার আঞ্চলিক কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম রাকিবুল্লাহ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে কক্সবাজারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আঞ্চলিক কমান্ডার পর্যায়ে সৌজন্যমূলক পতাকা বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম রাকিবুল্লাহ বলেন, মিয়ানমারের সীমান্ত বাহিনী অভিযোগ করেছে- সীমান্তে সন্ত্রাসী বাহিনীর অবস্থান রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বিজিবি’র সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে তারা। বিষয়টি বিজিবি খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি মিয়ানমার প্রতিনিধি দলকে বলেছি বাংলাদেশে কোনো সন্ত্রাসীর আশ্রয় এবং নিরাপত্তা দেয়া হয় না, হবেও না।

এ সময় মিয়ানমার সীমান্তে থাকা ইয়াবা কারখানার বিষয়েও কথা হয়েছে বিজিপির সঙ্গে। তারা আমাদের জানিয়েছেন বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং এর বিরুদ্ধে অভিযান চলছে।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কক্সবাজারস্থ বিজিবির আঞ্চলিক সদর দপ্তরে শুরু হওয়া বৈঠক বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিজিবি কক্সবাজার আঞ্চলিক কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম রাকিবুল্লাহ।

মিয়ানমারের পক্ষে ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিজিপি’র মংডু আঞ্চলিক কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন টুয়ে।

বৈঠকে উভয় বাহিনীর মধ্যে তথ্য বিনিময়, সীমান্তে নিয়মিত যৌথ টহল, ইয়াবা প্রতিরোধ, সীমান্ত পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা ইস্যুসহ নানা বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়।

এ সময় বাংলাদেশ দলে কর্নেল আবদুল কবির, লে. কর্নেল মনজুরুল হাসান খান, লে. কর্নেল আসাদুদ জামান, লে. কর্নেল মো. খালিদ আহমেদ, লে. কর্নেল মাহফুজুর রহমান, মেজর মামুনুর রশিদ ও মেজর শাহরিয়ার হোছাইন উপস্থিত ছিলেন। মিয়ানমারের হয়ে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ কর্নেল কেউ জেও, ইউ জে হাট, পুলিশ লে. কর্নেল টিন হান লিন প্রমুখ।

বিজিবি জানিয়েছে, বর্তমানে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ডে চার থেকে পাঁচ হাজারের মতো রোহিঙ্গা অবস্থান করছে।

(ওএস/এসপি/জুন ২৮, ২০১৮)