বেনাপোল প্রতিনিধি : বেনাপোল পৌরসভায় অস্বাভাবিক হারে পৌরকর নিরুপণ করার প্রতিবাদে বৃহস্প্রতিবার বিকালে বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশন মিলনায়তনে বেনাপোলের বিভিন্ন পেশার নাগরিকসহ নাগরিক কমিটির এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক আলহাজ্ব মহসিন মিলনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আলহাজ্ব মাস্টার শহিদুল্লাহ ও বেনাপোল নাগরিক কমিটির আহবায়ক, সিএন্ড এফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ সভাপতি ও শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুজ্জামান, এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক এনামুল হক লতা, এসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক জামাল হোসেন, কাস্টমস সম্পাদক নাসির উদ্দিন,বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ এনামুল হক মুকুল, বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতি সভাপতি মোঃ কামাল হোসেন, সিএন্ড এফ কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান, বেনাপোল বাজার কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আজিজুর রহমান, ব্যবসায়ী আলহাজ্ব নুর আলম, রোকনউদ্দিন, মোঃ নাজিম উদ্দীন, রফিকুল ইসলাম শাহিন, জুলফিকক্কার মন্টু,আকবার আলী, ৯২৫,শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রাজু আহম্মেদ, বেনাপোল প্রেসক্লাবের সেক্রেটারী সাংবাদিক রাশেদুজ্জামান রাশু, বন্দর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ কাজিম উদ্দীন, সীমান্ত প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ সহিদুল ইসলাম শাহিন, সেক্রেটারী মোঃ আয়ুব হোসেন পক্ষী,সুমন হুসাই সহ সকল সাংবাদিক ও বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ।

সভায় বক্তারা বলেন, আপনারা জানেন বেনাপোল বন্দর,কাস্টমস্ হাউজ,বিজিবি ক্যাম্প,সিএন্ড এফ এজেন্ট,ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতি,আমদানী-রপ্তানীকারক সহ অনেক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বেনাপোলে রয়েছে।বিভিন্ন সংস্থা ব্যবসা প্রতিষ্টান হতে কাঙ্খিত কর আদায় হওয়ায় পৌরবাসী রেয়াতি বা ৫০% কর ছাড় পাওয়ার দাবী রাখে।সেখানে পৌরসভার পূর্বের আরোপিত কর কে তোয়াক্কা না করে মানুষের আয়ের সাথে সামঞ্জস্যহীন অযৌক্তিক কর আরোপ করে নোটিশ প্রদান করায় জনগন হতাশ হয়ে পড়েছে।

উক্ত নোটিশ জনগন প্রত্যাখান করেছে। সুতরাং এ মুহুর্তে পৌরবাসীর একদফা এক দাবী বাড়তি চাপিয়ে দেয়া কর "বন্দ কর করতে হবে" অন্যথায় সকল ধরনের পৌরকর বন্দ করে দেওয়া হবে।বেনাপোল পৌরকর নির্ধারন ও পৌর মেয়র স্বাক্ষরিত তারিখ বিহীন একটি নোটিশে নাগরিককে অযৌক্তিক লাগামহীন হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারন পূর্বক নোটিশ জারী করা হয়েছে। জনগনের উপর মরন ট্যাক্স বর্ধিত করার প্রতিবাদে রাজপথে আন্দোলন, গণ স্বাক্ষর সহ মানব বন্ধন, লিফলেট বিতরণ,পৌরসভা ঘেরাও করে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।

পৌর মেয়র ও সচিব মিলে নানা দূর্নীতি করে টাকা লুটপাট করেছে। সেই টাকা তুলতে নতুন করে অস্বাভাবিক হারে নতুন করে পৌর কর নির্ধারন করেছে। যার ২ হাজার টাকা পৌরকর ছিল এখন তাকে ১২ হাজার, যার ৬ হাজার টাকা ছিল এখন তাকে দেড় লাখ টাকা দিতে হবে। সেই সাথে ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স ফি বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুন।বক্তারা আরো বলেন,এই নাগরিক কমিটি গঠন হওয়ার পর থেকে পৌর মেয়রের লালিত সন্ত্রাসী দিয়ে বিভিন্ন ভাবে জীবন নাশের হুমকি প্রদান করা হচ্ছে।

(এসএইচ/এসপি/জুন ২৯, ২০১৮)