নিউজ ডেস্ক : ক্যান্সার আক্রান্ত জুডি পার্কিন্সকে তিন মাসের জীবনসীমা বেঁধে দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। তবে গবেষণা স্বার্থে নতুন এক পদ্ধতিতে তার চিকিৎসা করেন যুক্তরাষ্ট্রের একদল চিকিৎসক। এই বৈপ্লবিক চিকিৎসা পদ্ধতির ফলে দুই বছর পর ক্যান্সার থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেন জুডি।

ইমিউনোথেরাপি নামের এই নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে। ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য এই নতুন পদ্ধতির কার্যকারিতা ও সম্ভাবনার বিষয়ে সংবাদ সংস্থা স্পুটনিকের সঙ্গে কথা বলেন ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের ক্যান্সার মেডিসিন অ্যান্ড অনকোলজির প্রোফেসর জাস্টিন স্টেবিং।

স্টেবিং বলেন, ক্যান্সারের ক্ষেত্রে কেবল ভালো মানের সার্জারি বা কেমোথেরাপিই যে ভালো ফল দেবে তা নয়। এক্ষেত্রে সার্জারি, কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি, হরমোনাল থেরাপি, টার্গেটেড থেরাপি, এন্টি-বডি থেরাপি এবং কিছু ক্ষেত্রে ইমিউনোথেরাপি প্রয়োগ করতে হয়।

আমরা মূলত পার্সোনালাইজ মেডিসিন ব্যবহার করি, অর্থাৎ, যে রোগীর জন্য যে চিকিৎসা প্রয়োজন সেটাই প্রয়োগ করি। পার্সোনালাইজ মেডিসিন প্রয়োগে ইমিউনোথেরাপি খুবই কার্যকর ফল দিয়েছে।

ইমিউনোথেরাপি খুব বেশি নতুন কোনো চিকিৎসা নয়। এপর্যন্ত বেশ কয়কজন ক্যান্সার রোগীকে এ চিকিৎসার মাধ্যমে আরোগ্য করে তুলতে পেরেছেন স্টেবিং, যাদের পক্ষে মাত্র কয়েক মাস বেঁচে থাকা সম্ভব ছিল। এই অপ্রচলিত চিকিৎসার মাধ্যমে তাদের টিউমারগুলো দূর হয়ে যায়।

এই পদ্ধতিতে রোগীর নিজস্ব টি-সেলকে ব্যবহার করেন চিকিৎসকরা। দেহের ভেতরে অচেনা কোনো কিছু ঢুকলেই তাকে আক্রমণ করে ধ্বংস করে টি-সেল। ক্যান্সার সেলও দেহের স্বাভাবিক কোষ নয়, তাই তাকেও আক্রমণ করে ধ্বংস করার ক্ষেত্রে টি-সেল সাহায্য করতে পারে। ইমিউনোথেরাপির মাধ্যমে ক্যান্সার সেলকে ধ্বংস করার জন্য এই টি-সেলকে কাজে লাগানো হয়।

স্টেবিং মনে করেন, অল্প সংখ্যক রোগীর ওপর এই চিকিৎসা ভালো কাজ করলেই যে তা সর্বব্যাপী কার্যকর ফলাফল দেবে তা নয়। ইমিউনোথেরাপির প্রাথমিক ওষুধ তৈরির আগে আরও অনেক রোগীর ওপর এরপরীক্ষামূলক প্রয়োগ দরকার। আরও জানা দরকার এই পদ্ধতি কতোদিন রোগীকে আরোগ্য রাখবে।

(ওএস/এসপি/জুন ২৯, ২০১৮)