ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা : গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় চলতি মৌসুমে সরকারি ভাবে চাল সংগ্রহে তেলেসমতি কারবার অব্যহত ভাবে চলছে।

উপজেলা জুড়ে এ মৌসুমে ৮৮ টি মিল চাতাল হতে ১৪৯৭ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ উপজেলায় ৮৮ টি মিল চাতাল কগজ কলমে মিললেও বাস্তবে ৪০ টি মিল চাতাল মিলানো সম্ভব নয়। নির্ধারিত এসব মিল চাতালের বেশীরভাগ মিলচাতালের কার্যক্রম দীর্ঘদিন হতে বন্ধ রয়েছে। কাগজ কলমে দেখানো মাত্র এসব মিল চাতাল হতে চাল সংগ্রহে নির্ধারিত লক্ষমাত্রা অনুযায়ী এ পর্যন্ত প্রায় ৭০০ টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। বাকি চাল সংগ্রহ অব্যহত আছে।

দেখা যায়, চাল সংগ্রহে মিল চাতাল মালিক সমিতি সেন্ডিকেট করে বিভিন্ন মিল চাতালের নামে চাল গুদাম জাত করছে একটি সক্রিয় চিহ্নিত চক্র। এসব চাল গুদামজাত করা কালিন সময়ে নির্ধারিত বস্তা দেখানো মাত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করে অন্যসব চাল কোন প্রকার পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই চক্রটির যোগসাজসে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহন করে চাল গুলো গুদামজাত করছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারিরা।

এ পর্যন্ত যেসব চাল গুদাম জাত করা হয়েছে এর ৭৫ ভাগ চাল জেলার বিভিন্ন স্থান হতে ভিজিডি, ভিজিএফ,টি আর, কাবিখা, কাবিটা সহ বিভিন্ন উন্নযন মুলক কাজের বরাদ্দকৃত চাল কমদামে সংগ্রহ করে এ সেন্ডকেট চক্রটি যোগসাজসে বর্তমান সরকারের নির্ধারিত মুল্যে গুদাম জাত অব্যহত রয়েছে।

এসব পুরাতন চাল নতুন চাল হিসাবে গুদাম জাত করার বিষয়ে উপজেলা গুদাম রক্ষক কর্মকর্তা আল আউয়ালের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব তথ্য কাল্পনিক আগে কি হয়েছে জানিনা তবে বর্তমান সময়ে সঠিকভাবে শতভাগ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চাল সংগ্রহ অব্যহত আছে। উপজেলায় বর্তমান সময়ে কয়টি মিল চাতালের কার্যক্রম চলছে জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা তা জানাতে পারেনি।

(এসআইআর/এসপি/জুন ২৯, ২০১৮)