ডা. শাহজাদা সেলিম : রোজার সময় রাতে এমনকি দিনের বেলায়ও রক্তের সুগার মাপা উচিত, যাতে রক্তের সুগার দেখে ঔষধের মাত্রা ঠিক করা যায়। ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে এতে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না।

সেহেরির দুই ঘণ্টা পর এবং ইফতারের এক ঘণ্টা আগে রক্তের সুগার পরীক্ষা করা যেতে পারে। যদি সুগারের পরিমাণ কমে (3.3 mmol/L ev 60 mg/dl) হয়ে যায়, তবে রোজা ভেঙে ফেলতে হবে এবং পরবর্তী সময়ে কাযা আদায় করতে হবে। যদি সুগারের পরিমাণ বেড়ে (16.7 mmol/L ev 300 mg/dl) হয়ে যায়, তবে প্রস্রাবে কিটোন বডি পরীক্ষা করতে হবে এবং জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনে ইনসুলিন দেওয়া যেতে পারে, এতে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।

বিশেষভাবে জানা প্রয়োজন : রমজান মাস রহমত, বরকত, মাগফিরাত এবং নাজাতের মাস। রমজান আত্দশুদ্ধির এবং আত্দপোলব্ধির মাস। রমজানের সুশৃঙ্খল জীবনযাপন এবং ইবাদত বন্দেগি ডায়াবেটিস রোগীদের ওজন এবং সুগার কমাতে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস রোগীরা রোজা রাখতে পারবেন। তবে তিন মাস আগে থেকে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। রোজার সময় নিজে ডায়াবেটিসের ঔষধ সমন্বয় করবেন না, এতে মারাত্দক পরিণতি হতে পারে। রোজার সময় দিনে এবং রাতে সুগার মাপা উচিত, ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, এতে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। সেহেরির খাবার সেহেরির শেষ সময়ের কিছু আগে খাওয়া উচিত। ইফতারের সময় বেশি চিনিযুক্ত খাবার খাবেন না। রোজার সময় দিনের বেলায় অতিরিক্ত ব্যায়াম করা উচিত নয়।

ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ।

(ওএস/এস/জুলাই ১৩, ২০১৪)