দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি : আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি, সমতন আদিবাসীদের জন্য পৃথক ল্যান্ড কমিশন গঠন, ভূমিতে প্রথাগত অধিকারের দাবীর মধ্য দিয়ে দিনাজপুরে ঐতিহাসিক সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস পালিত হয়েছে।

শনিবার (৩০ জুন) বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন, বাংলাদিশ আদিবাসী সমিতি, বাংলাদেশ কিষাণী সভা ও বাংলাদেশ ভূমিহীন কমিটির যৌথ আয়োজনে সাঁওতাল বিদ্রোহের ১৬৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি দিনাজপুর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে।

র‌্যালি শেষে শহরের বালুবাড়িস্থ সাঁওতাল বিদ্রোহের শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদিশ আদিবাসী সমিতি, বাংলাদেশ কিষাণী সভা ও বাংলাদেশ ভূমিহীন কমিটির যৌথ উদ্যোগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের প্রেসিডিয়াম সদস্য কমরেড বদরুল আলম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র পলিট ব্যুরো সদস্য মোঃ মুখলেস উদ্দিন, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এমএল জায়েদ ইকবাল খান, বাংলাদেশ ভূমিহীন সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুবল সরকার, বাংলাদেশ আদিবাসী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অমলী কিসকু, বাংলাদেশ কিষনী সভার সাধারণ সম্পাদক সাবিনা ইয়াসমিন, গার্মেন্টস টেক্সটাইল শ্রমিক ফোরামের আহবায়ক শহিদুল ইসলাম সবুজ, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতা মাসুদুর রহমান স্বপন ভূইয়া, সাজ্জাদ সাজু, দিনাজপুর জেলা শখার সভাপতি তারক কবিরাজ, সাধারন সম্পাদক আনিসুর রহমান, হবিবর রহমান, রশিদুল ইসলাম জুয়েল, বাংলাদেশ আদিবাসী সমিতির কেন্দ্রীয় নেতা জুলিয়াস মুর্মু, স্বপ্ন এক্কা, রাম হাসদা, বাহমনি কিস্কু, বাংলাদেশ কিষাণী সভার জেলা শাখার সভানেত্রী সাবিহা বেগম, সাধারণ সম্পাদিকা মর্জিনা বেগম, সাংগঠনিক সম্পাদক লতা আক্তার প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের আদাবাসী জনগোষ্ঠী চরম বঞ্চনার স্বীকার। সাংবিধানিক স্বীকৃতির অভাবে জাতি সংঘ কর্তৃক গোষিত রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা, ভোগ করতে পারছে না। ফলে আদিবাসীরা সমাজের মূল ধারায় সম্পৃক্ত হতে না পেরে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী হিসেবেই থেকে যাচ্ছে। অপরদিকে সংখ্যালঘু জাতিসত্তা বলে তারা নানাভাবে নির্যাতন, নিপিড়নের স্বীকার। আদিবাসীদের ঘরবাড়ীতে অগ্নিসংযোগ হতে শুরু করে হত্যা, ধর্ষণ ও ভূমি থেকে উচ্ছেদের মত ঘটনা ঘটেছে।

এসব ঘটনার সুবিচার আদিবাসীরা কখনই পাইনি। আদিবাসীরা সমাজে অনেকটা অস্পৃর্শ ও নিগৃহীত। অধিকন্ত নানারকম প্রতারনার স্বীকার হয়ে জমি-জমা হারাচ্ছে। এছাড়াও আদিবাসীদের ভাষা, সংস্কৃতিক, কৃষ্টি বিলুপ্তির পথে। এটা সংরক্ষনের জন্য তেমন কোন উদ্যোগ সরকার গ্রহণ করেনি।


(এন/এসপি/ জুন ৩০, ২০১৮)