নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি : নীলফামারীতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেন সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী মোসলেমা আক্তার। সে সদরের লক্ষীচাপ ইউনিয়নের বল্লমপাঠ সরকার পাড়া গ্রামের আমিনুর রহমানের মেয়ে ও লক্ষীচাপ কাচারী পাড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী । 

জানা যায়, একই ইউনিয়নের সহদেব বড়গাছা ককই পাড়া গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে জিয়ারুল ইসলাম (২২) বিয়ের প্রলভোন দিয়ে মোসলেমার বাড়ীতে গিয়ে তাকে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। মেয়ের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে জিয়াকে আটক করেন। আটকের পর গ্রামের লোকজনকে স্বীকার উক্তি দেয়, আমি তাকে বিয়ে করব। সে এই কথা বলে সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতেই পালিয়ে গিয়ে জানায়, সে আর তাকে বিয়ে করবেনা।

নিরুপায় হয়ে মোসলেমা গত ২৬ জুন হতে বিয়ের দাবীতে ছেলের বাড়ীতে অবস্থান করেন। এতে কয়েকবার শালিশ বৈঠক হলেও আজও মেয়েটির কোন ব্যবস্থা হয়নি।

মেয়েটি বলেন, আমি বিয়ের দাবীতে ৫দিন থেকে জিয়ার বাড়ীতে অবস্থান করছি, কিন্তু আজও আমার বিয়ের ব্যবস্থা হয়নি, তারা আমাকে টাকা দিয়ে পাঠিয়ে দেয়ার পায়তারা করছে।

সে আরো বলেন, আমার ইজ্জতের ক্ষতি হয়েছে, আমি টাকা দিয়ে কি করব? বিয়ে না করা পর্যন্ত নিজ বাড়ীতে ফিরে যাবো না। এদিকে, মেয়ের বাবা আমিনুর রহমান বলেন, আমার মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা না হলে আমি আইনের আশ্রয় নিব।

এ ব্যাপারে, লক্ষীচাপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, আমি অনেক চেষ্টা চালাচ্ছি বিষয়টি সমাধানের জন্য তবে মেয়েটির বিয়ের বয়স না হওয়ায় সমস্যায় পরতে হয়েছে। তিনি বলেন, আজ কালের মধ্যে যে কোন একটি সমাধান হয়ে যাবে।


(এমআইএস/এসপি/জুলাই ০১, ২০১৮)