রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : ১ জুলাই রোবিবার কুড়িগ্রামের রাজারহাটে রেকর্ড পরিমান বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় একবারও সূর্যের মূখ দেখা যায়নি। প্রায় সারাদিনই বজ্রসহ গুড়িগুড়ি ও মাঝে মধ্যেই প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে। 

ফলে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে বজ্রপাতের ভয়ে আতংকিত হয়ে ঘরের বাহিরে বের হতে পারেনি। সারাদিনের বৃষ্টিপাতে ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তিস্তা ও ধরলার চরাঞ্চলসহ রাজারজহাট, ছিনাই, ঘড়িয়াডাঙ্গা, বিদ্যানন্দ, চাকিরপশার, উমরমজিদ ও নাজিমখান ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশতাধিক নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে পানি থৈ থৈ করছে। এতে ছোট বড় প্রায় ২শতাধিক পুকুর তলিয়ে গিয়ে মাছ বের হয়ে গেছে। এতে মৎস্যজীবিদের প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্যচাষী প্রহলাদ দাস, লেবু মন্ডল, সাইফুল্লাহ, রত্নেশ্বর দাসসহ অনেকে জানিয়েছেন।

বিষয়টি উপজেলা মৎস্য অফিসও স্বীকার করেছে। এছাড়া ক্ষতি হয়েছে শাক-সবজিসহ উঠতি ফসলের। সারাদিনে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে অফিস ও হাট-বাজারগুলোতে তেমন লোকজনের চলাফেরা ছিল না। ঢিলে ঢালাভাবে অফিসগুলোর কাজ-কর্ম চলছিল।

রাজারহাটে অবস্থিত উত্তরবঙ্গ কৃষি আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র সরকার জানান, ১জুলাই বিকাল ৩টা পর্যন্ত রাজারহাট উপজেলায় ১০৪.৫ ডিগ্রী মিঃ মি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। কর্মজীবি লোকজন ছাড়া হাট-বাজারে তেমন লোকজন ছিল না। তবে বজ্রপাতে কোথাও ক্ষয়-ক্ষতি হওয়ার কবর পাওয়া যায়নি। রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহঃ রাশেদুল হক প্রধান ছোট-খাট বন্যার আশংকা করে সার্বক্ষনিক খোঁজ-খবর রাখছেন বলে জানিয়েছেন।

(পিএমএস/এসপি/জুলাই ০১, ২০১৮)