খুরশিদ আলম শাওন, রানীশংকৈল : পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈল পৌরশহরের সড়ক জুড়ে পানি জমে থাকছে। পৌরশহরের সড়কের পাশে দোকানপাট গড়ে তোলার সময় মালিকেরা সড়কের দুই পাশ মাটি দিয়ে ভরাট করেন। এ কারনে বৃষ্টির পানি বের হতে পারে না। 

এদিকে পৌরবাসীর অভিযোগ সম্প্রতি পৌরসভা গ থেকে খ শ্রেনীতে উন্নীত হওয়ায় পৌর কর্তৃপক্ষ কর (ট্রাক্স) বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে বাড়ায়নি শুধু সেবার মান। শহর জুড়ে পানি জমে থাকে এতে সকল শ্রেনীর মানুষ ভোগান্তির শিকার হলেও এর প্রতিকারে কোন উদ্যোগ নেই পৌরসভা কর্তৃপক্ষের।

রবিবার সকালে ঘন্টাখানেক বৃষ্টির পাশাপাশি দিন জুড়ে ঝির ঝির বৃষ্টি পড়ে। এরকম বৃষ্টিতেই মহাসড়কসহ পৌরশহরের গুরত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে পানি জমে থাকতে দেখা যায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রানীশংকৈল পৌরসভা কার্যালয় এলাকা শিবদিঘী থেকে বন্দর মহাসড়কের রুবি হোমি ফার্মেসী সংলগ্ন এলাকা প্রগতি ক্লাব থেকে পৌর মেয়র আলমগীর সরকারের বাড়ী এলাকা মডেল স্কুল মোর থেকে গুদরি বাজার এলাকা পলাশ মার্কেট থেকে ভান্ডারা এলাকা চাদনী থেকে রংপুরিয়া মার্কেট হয়ে পলাশ মার্কেট এলাকাসহ পৌরশহরের বিভিন্ন সড়ক মহাসড়ক জুড়ে কোথাও এক পাশে কোথাও দুই পাশে কোথাও সড়ক জুড়ে এক হাটু পানি জমে রয়েছে। পানি ছাড়াও কাঁদা পানি দুটোই রয়েছে। পথচারীদের এ কাদা পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ পৌরশহর জুড়ে যত নতুন দোকানপাট সহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছে নিজেদের ইচ্ছেমত। পৌর সভার যে একটা আইন আছে তা ভঙ্গ করে। যদিও পৌরসভা এ বিষয়গুলোর তেমন গুরত্ব দেয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। এ কারনেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা ব্যবসা প্রতিষ্টান গড়ে তোলার পর প্রতিষ্ঠানের সামনে উচু করে মাটি ভরাট করে। এ কারনে সামান্য বৃষ্টির পানিও নিষ্কাশন হতে পারে না। যদিও পৌর সভা নিয়ন্ত্রনাধীন বন্দর থেকে কুলিক নদী ব্রীজ পর্যন্ত কোয়াটার কিলো মিটারের একটি ড্রেন ছাড়া বিশাল পৌরশহর জুড়ে পানি নিষ্কাশনের আর কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই।

বন্দর সড়কের ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বৃষ্টির পানি বের হওয়ার কোন পথ না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই সড়ক জুড়ে পানি জমে থাকছে। জমে থাকা কাদা পানি মাড়িয়ে ক্রেতারা দোকানে আসতে চাই না। এতে ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন । এ রকম অভিযোগ একাধিক ব্যবসায়ীদেরও রয়েছে।

সড়ক জনপথ(সওজ) ঠাকুরগাঁও কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, কার্যকর পানি ব্যবস্থা না থাকলে সামান্য বৃষ্টিতেই সড়ক জুড়ে পানি জমাট হলে বিটুমিনের তৈরি সড়ক নষ্ট হয়ে যাওয়া আশংকা থাকে। তাই সড়কে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে সকলের খেয়াল রাখা উচিত।

এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে গতকাল রোববার দুপুরে পৌর মেয়র আলমগীর সরকারের মুঠোফোনে ফোন দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ ইসাহাক আলীকে মুঠোফোনে এ বিষয়ে বক্তব্য চাইলে তিনি বলেন,মহাসড়কের পাশ দিয়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে শহর জুড়ে করা হবে।

(কেএএস/এসপি/জুলাই ০১, ২০১৮)