দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি : দিনাজপুর জেলায় ঘনবসতিপূর্ন আবাসিক এলাকাসহ যেখানে-সেখানে ব্যাঙ্গের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে প্রায় ১৭০ থেকে ১৮০ টি বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনেষ্টিক সেন্টার। যার একটিতেও চিকিৎসাবর্জ্য ধ্বংসের কোন ব্যবস্থা নেই , নেই অনুমোদন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছারপত্র । যেকোনো বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনেষ্টিক নিবন্ধনভুক্ত হতে বা যাত্রা শুরু করতে হলে অনুমোদন ও পরিবেশ ছাড়পত্র থাকা বাঞ্ছনীয়। এ নিয়ম না মেনে দিব্বি চলছে এসব প্রতিষ্ঠান। আর যত্রতত্র এসব প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য ফেলায় স্বাস্থ্য ও পরিবেশের যেমনি বারছে ঝুঁকি তেমনি বারছে চিকিৎসা নিতে আশা রুগীর মৃত্যুর হার ।

পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০১০ অনুযায়ী যেকোনো বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও রোগনির্ণয়কেন্দ্রের নিবন্ধিত হওয়ার আগেই পরিবেশ ছাড়পত্র নেওয়াটা বাধ্যতামূলক।

জেলার বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোর সংশি¬ষ্ট লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, এসব প্রতিষ্ঠান থেকে রক্ত, পুঁজ, দেহরস সংক্রমিত স্যালাইন সেট, রক্ত বা দেহরস, ডায়রিয়া সংক্রামিত রোগীর কাপড় চোপড়, সংক্রমিত সিরিঞ্জ ইত্যাদি বর্জ্য হয়। এ ছাড়া আছে অ্যানাটমিক্যাল বর্জ্য যেমন, মানবদেহের কেটে ফেলা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, টিস্যু, গর্ভফুল ইত্যাদি। তেজস্ক্রিয় বর্জ্যের মধ্যে রয়েছে রেডিওঅ্যাকটিভ আইসোটোপ, অব্যবহূত এক্স-রে মেশিন হেড ইত্যাদি। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় এগুলো কোনো ধরনের শোধন ছাড়াই যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে।

সিভিল সার্জন (দিনাজপুর) ডাঃ মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস জানান, দিনাজপুর জেলায় মোট ১ শত ২০ টি লাইসেন্স প্রাপ্ত বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনেষ্টিক তার মধ্যে ৫৩ টি প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক এবং ৬৩ টি ডায়াগনেষ্টিক সেন্টার রয়েছে ্ওদের মধ্যে ২০১৭/১৮ সন নবায়ন কৃত ৬৮ বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনেষ্টিক বাকি গুলো অনবায়ন কৃত রয়েছে ।

তিনি আরো জানান , প্রতিষ্ঠানগুলোর নিবন্ধন-প্রক্রিয়া সম্পর্কে তাঁর (সিভিল সার্জন) নেতৃত্বে একটি তদন্ত দল কাজ করছে । তাদের সেবার মান কেমন হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোর চিকিৎসা-সংক্রান্ত উপকরণ আছে কি না , বেড অনুযায়ি চিকিৎসক এবং সেবিকা আছে কি না তারা মনিটরিং করছে যে গুলোর মধ্যে এগুলো ঘার্তি পচ্ছি তাদের আমরা নোটিশ দিচ্ছি এছারাও কোন কোন প্রতিষ্ঠানকে আমরা বন্দের নোটিশ দিচ্ছি , বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনেষ্টিক সেন্টার গুলোতে আমরা মনিটরিং করছি এবং অবহিত করে যাচ্ছি ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ডাক্তার খোভ প্রকাশ করে বলেন, গুটিকয়েক ডাক্তার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সৎ ইচ্ছার অভাবের কারণে গোটা চিকিৎসা সমাজের ভাবমূর্তি আজ প্রশ্নবৃদ্ধ হয়ে পড়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব বিষয়ে দ্রুত আইনি পদক্ষে গ্রহন করে দেশের চিকিৎসা সেক্টরে পরিবর্তন আনবে বলে আশাবাদি সাধারণ মানুষ।

(এন/এসপি/জুলাই ০৩, ২০১৮)