ডেস্ক রিপোর্ট : খুব দ্রুতই মানুষের শরীরে বয়সের ছাপ পড়ে যায় জীবনযাত্রার দোষে। এটা সবাই প্রায় জানে যে, যারা মদ্যপান বা ধূমপান করেন বা যেসব নারীরা মেকআপ না তুলেই ঘুমিয়ে পড়েন তাদের চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে অনেক দ্রুত।

আপনি কিভাবে ঘুমাচ্ছেন, তার চাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনি কতক্ষণ ঘুমাচ্ছেন। কারণ এর ওপরেই নির্ভর করে আপনি দ্রুত বুড়িয়ে যাচ্ছেন কি না।

মধ্যবয়সী মানুষদের জন্য ঘুমের মানের চেয়ে ঘুমের সময়সীমা বেশি জরুরি। সিঙ্গাপুরের ‘ডিউক নুস স্কুল অফ মেডিসিন’-এর এই গবেষণায় ৫৫ বছর বা তারও বেশি বয়সী ৬৬ জন মানুষের উপর সমীক্ষা নেয়া হয়েছিল।

তাদের জীবনযাত্রা, মস্তিষ্ক এবং ঘুম সংক্রান্ত বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। এভাবে প্রাপ্ত তথ্য থেকে গবেষকেরা নিশ্চিত হন যে কম সময় ঘুমোলে তা মস্তিষ্কের বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে।

মাত্র এক ঘণ্টা কম ঘুমালে মস্তিষ্ক প্রকোষ্ঠের আকৃতি বৃদ্ধির পরিমাণ বেড়ে যায়, যা কিনা মস্তিষ্কের বুড়িয়ে যাবার অন্যতম লক্ষণ।

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের ক্ষমতা কমে যাওয়া এবং বিভিন্ন ধরনের স্নায়ুর রোগ হতে পারে এ কারণে। কিন্তু ঘুমের মান মস্তিষ্কের বয়স বৃদ্ধির ওপরে কোনো প্রভাব ফেলে না বলে জানা গেছে।

ঠিক কতক্ষণ ঘুমোলে তা শরীর এবং মনের জন্য আদর্শ সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায় না।

ইউনিভার্সিটি অফ অরিগনের এক গবেষণায় জানা যায়, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বজায় রাখার জন্য ছয় থেকে নয় ঘণ্টা ঘুম হলো আদর্শ।

তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে মানুষের বয়স, ওজন, পেশা ভেদে এই সময়টা একটু কমবেশি হতে পারে।–ওয়েবসাইট।

(ওএস/এইচআর/জুলাই ১৩, ২০১৪)