অগ্নি স্বাক্ষী করে

প্রকৃতির ইশারায় দুজন দুজনে আবদ্ধ হলে-
নতুনের আবাহনে,অগ্নি স্বাক্ষী করে-
পিয়ালীর কপালে লাল সিদুর-,টুকুনের জীবন শুরু নব আনন্দে-
মিলনের সামান্য ক’দিনে চার চোখের মিলনে
সাগর সম প্রশান্তি অনুভবে আগলে রেখো ভাই।
রং মাতাল বসন্ত বাতাসে কিসের সু-গন্ধ,
উচ্ছল-উজ্জ্বল আনন্দ তরঙ্গ দোলে সাগর জলে-
উচ্ছাস ভরা আয়োজনে.

শত শত প্রানে মনে,দেখা মেলে জনে জনে।
প্রাসাদোপম আয়োজনে ,তুমি আর পিয়ালী-
কত মন দেয়া নেয়া গুঞ্জরনের নির্মল ছন্দ,ঝংকারে.
মৃদু আধাঁরে রঙিন বাতির আড়ালে-
স্বর্গ-সুখে ভাসাও তরণী দু’জনে।

হে সখা-
কত শত আপন জন আত্মীয়তার বাধঁনে
আবদ্ধ কড়ি ডোরে,ঘুমন্ত শিশু
আনন্দ কোলাহলে জেগে উঠে হেসে-
হাসো তোমরাও চুপিসারে,কেউ না জানে,মনে মনে।
অনাবিল প্রশান্তি আর ভাল বাসায়,কাটাও অনন্ত কাল ধরে জীবন ছায়ায়
চিনিলে না মোরে কত দুরে,আর হবে কি দেখা কোনো কালে।

মনে রেখো ভাই
জোয়ার ভাটায় চাঁদের আলোয়
নয়ন জোড়াবে নিরবে-
কখনো দখিনা বাতাসে,
বসন্তের পলাশ রাঙা কৃঞ্চ-চুড়ারর পরশে।
আজিকার এই দিন আসিবে না আর কোনো ক্ষনে
তবু পড়বে মনে,নিরবে ক্ষনে ক্ষনে।
ফুট ফুটে চাঁদের আলো করবে ঘরের কোন্ আলো-
প্রশান্তির স্রোত ধারা বহিবে ভুবনে-
দোলনায় দুলিবে যে, চাঁদময় হাসি মাখা মুখ,
নির্জন ঘরে-
প্রচন্ড কোলাহলে ভরিবে ভুবন -আদরে রেখে জীবন ভরে।