স্টাফ রিপোর্টার : সদ্য সমাপ্ত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির হার ছিল আগের বছরের চেয়ে বেশি। বছর শেষে জুনে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে আগের বছরের জুনে এর হার ছিল ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

এ মূল্যস্ফীতির হার মাসের হিসাবে মে থেকে জুনে কিছুটা কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (৩ জুলাই) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বিবিএসের মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সব কিছুর দাম কমেছে। এ জন্য গত ছয় মাস থেকে মূল্যস্ফীতির হার ক্রমেই কমছে। কিন্তু বছরের প্রথম দিকে হাওড়ে ফসল নষ্ট ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে চালের দাম বেড়েছিল। এ জন্য গড় হিসাবে গত বছরের চেয়ে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেশি হয়েছে।

তিনি বলেন, খাদ্য মজুদ বেড়েছে। ফুড সিকিউরিটি নিশ্চিত হয়েছে। ফলে এখন আর মূল্যস্ফীতি বাড়বে না।

বিবিএসের তথ্য অনুসারে, বছর শেষে জুনে খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এটি তার আগের বছরের জুনে ছিল ৭ দশমিক ৫১ শতাংশ।

খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এটি তার আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

তবে মে মাসের সঙ্গে তুলনা করলে জুনে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমেছে। মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ, জুনে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

এদিকে জুনে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি কমলেও খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।

জুনে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ। আর জুনে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৪ দশমিক ৮ শতাংশ।

বিবিএস বলছে, পরিধেয় বস্ত্র, বাড়ি ভাড়া, বিদ্যুৎ, চিকিৎসা সেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের কিছু পণ্যের দাম জুনে বেড়েছে।

এদিকে গ্রামাঞ্চলে খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও বেড়েছে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি। একই চিত্র দেখা যায় শহরেও।

(ওএস/এসপি/জুলাই ০৩, ২০১৮)