স্টাফ রিপোর্টার : ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা ছিল, তবে আদায় হয়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬২৭ দশমিক ২৫ কোটি টাকা ( চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত)।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসন ৩-এর এমপি হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়ার এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ তথ্য জানান।

এম আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকা এবং ওই লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জিত সাফল্য ১ লাখ ৭১ হাজার ৬৫৬ দশমিক ৪৪ কোটি টাকা।

মামুনুর রশীদ কিরনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, মোবাইল ফিনানসিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) আওতায় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২৩৪ কোটি টাকা আয় হলেও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৬৭ কোট টাকা। অর্থাৎ গত অর্থবছরে ১৩৩ কোটি টাকা বেশি আয় হয়েছে।

বৈদেশিক সাহায্য ২৪ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার

ভোলা-৩ আসনের এমপি নুরুন্নবী চৌধুরীর অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ২০০৮-০৯ অর্থবছর থেকে ২০১৬-১৭ অর্থ বছর পর্যন্ত দেশের উন্নয়নের কাজে বিভিন্ন দেশ ও দাতা সংস্থার কাছ থেকে প্রাপ্ত বৈদেশিক সাহায্যের পরিমাণ ২৪ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ঋণের পরিমাণ ১৮ হাজার ৫৫৯ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং অনুদানের পরিমাণ ৫ হাজার ৫৯৭ দশমিক ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

অর্থমন্ত্রীর দেয়া তথ্য মতে, এসব দাতা সংস্থাগুলোর মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সাহায্যের পরিমাণ (ডিসবাসমেন্ট) ৬ হাজার ১৮৩ দশমিক ২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, বিশ্বব্যাংকের (আইডিএ) ৭ হাজার ৩৬১ দশমিক ৬৮ মিলিয়ন, চীনের ৯৯৩ দশমিক ২৭ মিলিয়ন, রাশিয়ার ৪১৬ দশমিক ৬৫ মিলিয়ন, ইউএন সংস্থাগুলোর ১ হাজার ৮৩০ দশমিক শূন্য ৪ মিলিয়ন, আইডিবি ৪৫৫ দশমিক ২২ মিলিয়ন, জাপানের ২ হাজার ৯৫৭ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন, দক্ষিণ কোরিয়ার ৩৫০ দশমিক ৭৩ মিলিয়ন এবং অন্যান্য ৩ হাজার ৮০১ দশমিক ১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

(ওএস/এসপি/জুলাই ০৩, ২০১৮)