মৌলভীবাজার : মনু বাঁচাও, ধলাই বাঁচাও, বাঁচাও পরিবেশ এই শ্লোগানকে ধারণ করে মৌলভীবাজারে মনু ও ধলাই নদী খনন এবং স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প গ্রহনের দাবিতে মৌলভীবাজারে সর্ববৃহত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন দু’পাড়ের হাজারো বাসিন্দারা। বুধবার (৪ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে শহরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান ফটকের সামনে মনু ও ধলাই পাড়ের সাধারণ জণগোষ্ঠির ব্যানারে আয়োজিত এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

সকাল থেকে গুরি গুরি বৃষ্টি আর বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে দলে দলে লোকজন অবস্থান কর্মসূতিস্থলে আসতে থাকে । মনু ও ধলাই পাড়ের মানুষকে রক্ষায় দলমত নির্বিশেষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী,সামাজিক ,সাংস্কৃতিক সংগঠন, ব্যবসায়ী সহ সর্বস্থরের সাধারণ মানুষ অংশগ্রহন করে এই অবস্থান কর্মসূচিতে। দুপুর ১২টার দিকে অবস্থান কর্মসূচি স্থলের দু পাশের রাস্তায় সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে ব্যাপক আকার ধারন করায় যান চলাচলে কিছুটা বিঘœ হলে স্বেচ্ছাসেবী ও ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতায় চান চলাচলে কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরে আসে। অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুরো সড়ক জুরে পুলিশের ব্যাপক নিরাপত্তা লক্ষনিয় ছিল।

অবস্থান কর্মসূচির অন্যতম আয়োজক ও পরিবেশবাদী সংগঠক নাট্য ব্যাক্তিত্ব আ.স.ম সালেহ সোহেল ও মনু থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক কয়ছর আহমদের সঞ্চালনায় শুরু হওয়া কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, শাহবন্দর যুব সংস্থার প্রধান পৃষ্টপোষক নাট্যজন খালেদ চৌধুরী, শিক্ষাবিদ সৈয়দ মুজিবুর রহমান, বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোসাহিদ আহমদ চুন্নু, আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ নওশের আলী খোকন, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সলমান আলী, বিজনেস ফোরামের সভাপতি নুরুল ইসলাম কামরান, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, নিরাপদ সড়ক চাই (নিশ্চা) সভাপতি খিজির মোহাম্মদ জুলফিকার, জাসদ নেতা হাসান আহমদ রাজা, জেলা বারের আইনজীবি এড: ডাডলী ডেরিক প্রেন্টিস, ব্যবসায়ী মনোয়ার আহমেদ রহমান প্রমুখ।

এছাড়াও বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতিতে অবস্থান কর্মসূচির প্রতি একাতœতা পোষন করেন বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, সম্প্রতি বন্যায় এই দু’পাড়ের লাখো মানুষের ঈদ আনন্দ কেড়ে নিয়ে গেছে। মৌলভীবাজারে মনু ও ধলাই নদী এই অঞ্চলের মানুষের জন্য আর্শিবাদ হলেও বর্তমানে বন্যার কারনে এই নদগুলো অভিশাপের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এই দু’পাড়ের মানুষকে বাঁচাতে এই দুটি নদী খনন এবং স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প গ্রহনের জন্য অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান বক্তারা।

(একে/এসপি/জুলাই ০৪, ২০১৮)