ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ত্রিশালে মঠবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন মাস্টার হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ কেন্দ্রীয় কমিটি। 

আজ সকালে রাজধানীর শান্তিনগরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান শাহীনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় নেতৃবৃন্দ মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুতে গভীর শোক ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. কাজী সাইফুদ্দীন, শহীদ সংসদ সদস্য নুরুল হক হাওলাদারের কন্যা জোবায়দা হক অজন্তা, সহ-সভাপতি সাংবাদিক মিজান রহমান, ওমর ফারুক সাগর ও আকবর হোসেন মিঠু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর রশিদ রনি, আব্দুল্লাহ-আল মামুন, আল-আমিন মৃদুল ও আজহারুল ইসলাম অপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমা আক্তার, দফতর সম্পাদক আহমাদ রাসেল।

সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, যাদের বীরত্বে ও আত্মত্যাগে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি সেসব বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা কোনভাবেই সহ্য করা হবে না।

তারা বলেন, বেশ কিছুদিন যাবৎ লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার নিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন মাস্টার হত্যাকান্ডটিও এরই ধারাবাহিকতার ফসল বলে আমরা মনে করি। এজন্যই ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন এখন সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যথায় ভবিষ্যতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর আরো বড় কোন আঘাত আসতে পারে।

মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন মাস্টারের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

তারা বলেন, অনতিবিলম্বে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারী ওইসব নরপিচাশদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। দুষ্কৃতকারীদের শুধু গ্রেফতারই নয়, এমন শাস্তি দিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এভাবে জাতীয় বীর এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর অন্যায়ভাবে হাত তোলার সাহস না পায়।

ময়মনসিংহের ত্রিশালে মঠবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন মাস্টারকে (৬৫) বুধবার গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

সভায় বিএনপি-জামায়াতের প্রেসক্রিপশনে তথাকথিত কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা আলোচনা করেন।

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরও আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিকারীদের কঠোর হস্তে দমনের আহবান জানিয়ে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রশাসন গড়ে তোলার স্বার্থে ৩০% মুক্তিযোদ্ধা কোটায় হাত না দেয়া ও যুদ্ধাপরাধী-স্বাধীনতাবিরোধীদের বংশধরদের সরকারি চাকুরিতে অযোগ্য ঘোষণারও দাবি জানান।

(পিআর/এসপি/জুলাই ০৫, ২০১৮)