মাগুরা প্রতিনিধি : যৌতুক ও পরকীয়ার জের ধরে  মাগুরার শালিখা উপজেলার গোবরা গ্রামে গৃহবধুকে পিটিয়ে মুখে বিষ ঢেলে আত্ম হত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে মুমুর্ষু অবস্থায় কনা ইয়াসমিন (২২) নামের ওই গৃহবধূকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে বুধবার ভোররাতে তার মৃত্যু হয়। 

নিহত কনার পিতা মাগুরা শহরের ভায়নার বাসিন্দা ট্রাক ড্রাইভার আসাদ শেখ অভিযোগ করেন- শালিখার গোবরা গ্রামের রশিদ মোল্যার ছেলে হুমায়ুন মোল্যার সাথে ৬বছর আগে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই হুমায়ুন ও তার পরিবারের সদস্যরা যৌতুকের জন্য কনার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতো। অন্যদিকে প্রতিবেশী এক নারীর সাথে জামাই হুমায়ুনের পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। প্রবাসী স্বামীর টাকার গরমে ওই নারী জামাই হুমায়ুনকে কনার সাথে দুর্ববহার করতে উৎসাহিত করতো। ২ মাস আগে কনাকে পিটিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে পাষন্ড হুমায়ুন। সে সময় তাকে ৩দিন মাগুরা সদর হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেন তারা।

জামাই এর মারপিটের মেয়ের শরীরের বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন আছে উল্লেখ করে তিনি জানান- মঙ্গলবার রাতে মেয়েকে মারপিটের এক পর্যায়ে সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার মুখে বিষ ঢেলে দেয় জামাই ও তার পরিবারের সদস্যরা। পরে তারা তাকে সঠিক চিকিৎসা না দিয়ে বাড়িতে ফেলে রাখে। পরে গ্রামবাসির সহযোগিতায় মেয়েকে হাসপাতালে আনা হয়। অবস্থা খারাপ বলে তাকে ওই রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাত ৪টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায় কনা। তার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে মাগুরায় আনা হলে মাগুরা পৌর গোরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

আসাদ শেখ জানান- কৌশলে জামাই হুমায়ুন, তার বাবা রশিদ মোল্যা ও মা তাসলিমাকে নিজের বাড়িতে আটক করে রাখা হয়েছে। ফরিদপুর থেকে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ মাগুরায় আসার পর ঘটনাস্থল শালিখা থানায় মামলা দায়ের করা হবে।

শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল হোসেন জানান- এ ব্যাপারে বুধবার বিকাল পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ডিসি/এসপি/জুলাই ০৫, ২০১৮)