সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : নেত্রকেনা কেন্দুয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহরণের ১২ দিন পর উপজেলার নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির মেধাবী এক স্কুল ছাত্রীকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মোহনগঞ্জ পৌর এলাকা থেকে উদ্ধার করে।

অপহৃত স্কুল ছাত্রী সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ভূক্ত। উদ্ধারের পর তাকে নেত্রকোনা জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

গত ২৩ জুন সকাল অনুমান ৯ টার দিকে নওপাড়া গ্রামের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওই ছাত্রী নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল। এসময় আটপাড়া উপজেলার কাইতউড়া গ্রামের আপমিয়া গোলামের ছেলে বাবু মিয়া (২২) ও সেলিম মিয়ার ছেলে সাগর মিয়া (১৬) ওই ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে নওপাড়া এলাকার দূর্গাপুর পাকা রাস্তার উপর থেকে সি.এন.জিতে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনার পর অপহৃতা স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধারের দাবীতে তার বড়ভাই বাদী হয়ে বাবু ও সাগর মিয়ার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কেন্দুয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস.আই) নোমান সাদেকিন মামলার এজাহারের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, অপহরণকারী বাবু মিয়া ও অপহৃতা স্কুল ছাত্রীর ভগ্নিপতির বাড়ী একই এলাকায়।

বাবু মিয়া স্কুল ছাত্রীর ভগ্নিপতির সাথে প্রায়ই নওপাড়া গ্রামে তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসত। সুযোগ বুঝে সে ওই স্কুল ছাত্রীকে প্রেম প্রস্তাব দিত। কিন্তু স্কুল ছাত্রী প্রেম প্রস্তাব প্রত্যাখান করে আসছিল। অপহরণকারী বাবু মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। ঘটনার দিন মোটরসাইকেল চালিয়ে এলাকায় আসলেও সাগরের সহযোগিতায় স্কুলে যাওয়ার পথে দূর্গাপুর পাকা রাস্তা থেকে ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে সি.এন.জিতে তুলে নিয়ে যায়।

পুলিশ অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করলেও অপহরণকারী বাবু ও তার সহযোগী সাগরকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এদিকে মামলার বাদী জানান তার বোন অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত। সে একজন মেধাবী ছাত্রী। তার লেখাপড়া চালিয়ে যেতে আদালতের মাধ্যমে তিনি তার বোনকে ফেরত পেতে আবেদন জানিয়েছেন।

কেন্দুয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) স্বপন চন্দ্র সরকার জানান, অপহৃতা স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধারের পর পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।

(এসবি/এসপি/জুলাই ০৫, ২০১৮)