রাবি প্রতিনিধি : ইতিহাস, ঐতিহ্য আর গৌরবের ৬৫ বছর পেরিয়ে ৬৬ বছরে পদার্পণ করলো দেশের অন্যতম বৃহৎ উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শুক্রবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবন চত্বরে অতিথিবৃন্দের উপস্থিতিতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা, বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা ও ১৭টি আবাসিক হলের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে সিনেট ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। পরে ৬৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একটি বৃক্ষরোপণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সমাবেশে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকারের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা।

ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সেজেছে ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা, প্রধান ফটক ও ভবনগুলো সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। সেখানে শোভা পেয়েছে রঙ-বেরঙের আলোকসজ্জ্বা।

প্রসঙ্গত, ১৯৫৩ সালের ৩১ মার্চ প্রাদেশিক পরিষদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাশ হয়। একই বছরের ৬ জুলাই ড. ইৎরাত হোসেন জুবেরীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। সেই সময় পদ্মাপাড়ের বড় কুঠি ও রাজশাহী কলেজের বিভিন্ন ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৬১ সালে বড় কুঠি থেকে নয়নাভিরাম মতিহারের এ সবুজ চত্বরে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম। রাজশাহী শহর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে পদ্মা নদীর তীর ঘেঁষে অবস্থিত এ ক্যাম্পাসটি ৩০৩ দশমিক ৮০ হেক্টর জমিতে স্থাপিত।

শুরুতে দর্শন, ইতিহাস, বাংলা, ইংরেজি, অর্থনীতি, গণিত ও আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি অনুষদের অধীনে ৫৮টি বিভাগ রয়েছে। তাছাড়া উচ্চতর গবেষণার জন্য রয়েছে ৫টি ইনস্টিটিউট। শিক্ষক রয়েছে প্রায় সাড়ে ১২শ এবং শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় ৩৩ হাজার। এছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হল রয়েছে ১৭টি।

(ওএস/এসপি/জুলাই ০৬, ২০১৮)