জোটন চন্দ্র ঘোষ, হালুয়াঘাট : হালুয়াঘাটে আউশ ধান চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে উপজেলার কৃষকগণ। ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে উপজেলাটি গঠিত হলেও ভুবনকুড়া, গাজিরভিটা, জুগলী, কৈচাপুর ও হালুয়াঘাট সদর ইউনিয়নের স্বল্প জমিতে আউস চাষাবাদ করা হয়। অপর ৭টি ইউনিয়নে আউস ধান চাষাবাদ করেন না স্থানীয় কৃষকগণ। ফলে আউস ধান উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা ভেস্তে যাওয়ার আশংখ্যা করছেন কৃষকরা বিনামূল্যে প্রায় ১২শত কৃষককে প্রণোদনা দেবার পরেও আউস চাষ না হওয়ায় খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা করছেন তারা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, অত্র উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে নেরিকা ও উফসী জাতের বি-ধান ৪৮,২৬ ও ৩২ প্রায় ৩৫০০শত হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করেছেন প্রায় ১০ হাজার কৃষক এবং প্রায় ১২ শত কৃষককে ৪০ কেজি সার ও ৫ কেজি করে বীজ ধান সরবরাহ সহ নেরিকা জাতীয় আউস ধান চাষাবাদকারী জন প্রতি কৃষককে নগদ ১০০০ টাকা এবং উফসী জাতীয় আউস ধান চাষাবাদকারী জন প্রতি কৃষককে নগদ ৫০০ টাকা করে প্রণোদনা প্রদান করা হয়।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষি ভান্ডার নামে খ্যাত হালুয়াঘাট উপজেলার ভুবনকুড়া, গাজিরভিটা, জুগলী, কৈচাপুর ও হালুয়াঘাট সদর ইউনিয়নের কয়েক একর জমিতে রোপন করা হয়েছে আউস ধান। ধানের বাজার মূল্য কম ও উৎপাদন খরচ বেশী হওয়ায় আউস ধান চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষক।

হালুয়াঘাট সদর ইউনিয়নের পূর্বগোবরাকুড়া গ্রামের কৃষক হাজ্বী আব্দুল হাই,জবান আলী, তোতা মিয়া জানান, বিনামূল্যে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে প্রভাবশালী স্থানীয় ব্যক্তিদের। প্রকৃত কৃষকরা সরকার কর্তৃক বরাদ্ধকৃত আউস চাষের প্রণোদনা পায় নি । যার ফলে কয়েক বছর ধরে হালুয়াঘাট উপজেলায় অনেকাংশে কমে গেছে আউস ধানের চাষাবাদ। কৃষক জবান আলী আরো বলেন তিনি প্রায় ২.৫০ একর জমিতে বিল্পব জাতের আউস ধান চাষ করেছেন। কৃষি অফিস থেকে কোন প্রকারের সার,বীজ পান নি। প্রতি একর জমিতে ৪০ থেকে ৫০ মণ ধানের ফলন হয়। প্রায় ১শত মণ ধান মাড়াই করতে পারবেন বলে আশা ব্যাক্ত করেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ জানান, আউসের ভাল চাষাবাদ হয়েছে। অত্র উপজেলায় ৩৫০০ হেক্টর জমিতে আউস ধান আবাদ করা হয়। পাশাপাশি ১২শত কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে সার,বীজ ও নগদ অর্থ প্রদান করেছেন।

(জেসিজি/এসপি/জুলাই ০৬, ২০১৮)