স্বাস্থ্য ডেস্ক : প্রতিদিন অন্তত ৬ কাপ কফি পান করলে দ্রুত মৃত্যুর ঝুঁকি কমবে ১৬ শতাংশ। যারা এমন নিয়ম করে কফি পান করেন না তাদের থেকে অন্তত ১০ বছর পর মারা যান কফি পান করা ব্যক্তিরা। সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাজ্যের একদল গবেষকের দাবি এমনই।

হৃদরোগ, ক্যান্সার, স্মৃতিভ্রম, ডায়াবেটিসসহ অবসাদ দূরীকরণে কফি বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে এমন বিশ্বাস অনেক দিনের। আর গবেষকরা এখন বলছেন যে, আয়ু বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখে কফি। ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল ক্যান্সার ইন্সটিটিউট এবং ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথের একদল গবেষক কফির ওপরে তাদের গবেষণা শেষে এমনটাই দাবি করছেন।

প্রায় পাঁচ লক্ষ্য ব্রিটিশ নাগরিকদের ওপর এক গবেষণা থেকে এমন সিদ্ধান্তে আসেন গবেষকেরা। ৩৮ থেকে ৭৩ বছর বয়সী এসব নাগরিকদের প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, তারা দৈনিক কত কাপ কফি পান করেন। গতকাল সোমবার জামা নামক এক জার্নালে প্রকাশিত ঐ গবেষণায় বলা হয়, দিনে আট কাপ অথবা তার থেকে বেশি যারা কফি পান করেন তার মৃত্যুহার অন্যদের থেকে ১৪ শতাংশ কম। আর যারা ছয় কাপ বা তার থেকে বেশি কাপ কফি প্রতিদিন পান করেন তাদের মধ্যে মৃত্যু ঝুঁকি ১৬ শতাংশ কম।

যারা দৈনিক এর থেকে কম পরিমাণে কফি পান করেন তাদের মধ্যে মৃত্যু ঝুঁকি বেশ কম। প্রতিদিন দুই কাপ বা তার থেকে বেশি কাপ কফি পান করেন তাদের মধ্যে মৃত্যু ঝুঁকির ১২ শতাংশ কম। দিনে অন্তত এক কাপ কফি পান করেন এমন ব্যক্তিদের জন্য এই সংখ্যা আট শতাংশ। আর যারা গড়ে প্রতিদিন এক কাপেরও কম কফি পান করেন তাদের মধ্যে মৃত্যু ঝুঁকির হার প্রায় পাঁচ শতাংশ কম।

গবেষকদলের প্রধান এবং মেরিল্যান্ড ন্যাশনাল ইন্সটিটিউটের ক্যান্সারবিষয়ক গবেষক ড. এরিকা লটফিল্ড বলেন যে, প্রায় সব ধরণের কফির জন্যই এই গবেষণা ফলাফল কাজ করবে। অর্থ্যাত গ্রাউন্ড, ইনসট্যান্ট এবং ডিক্যাফিনেটেড’; যে ধরনের কফিই হোক না কেন, তা অল্প বয়সে মৃত্যু ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে।

২০১৭ সালে হুয়াওয়ের ক্যান্সার সেন্টার বিশ্ববিদ্যালয় এবং দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কেক স্কুল অব মেডিসিনের এক যৌথ গবেষণায়ও প্রায় একই রকম ফলাফলের দাবি করেছিলেন গবেষকেরা।

(ওএস/এসপি/জুলাই ০৬, ২০১৮)