ধামরাই প্রতিনিধি : শিশু পুর্ণিমা ধর্ষণ ও হত্যাকারী গ্রেফতার ও আদালতে স্বীকারোক্তি বিষয়ে শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় ধামরাই থানা মিলনায়তনে সাংবাদিকদের নিয়ে পুলিশে উর্ধ্বতন কর্মকতাদের প্রেস ব্রিফিং এর আয়োজন করেন।এসময় ধামরাইয়ে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ারয় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ) মোঃ সাঈদুর রহমান শিশু পুর্ণিমা ধর্ষন ও হত্যার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত মরন ও সোহান বিজ্ঞ আদালতে শুক্রবার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। ঘটনার স্বীকারোক্তি প্রদান প্রসঙ্গে জানান।

এ ঘটনায় আরো দুজন সরাসরি জড়িত আছে তাদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানানো হয়।তিনি বলে পুর্ণিমার গলায় একটি রোপার চেইন ও নাকে নাক ফুলটিও উদ্ধার করা হয়েছে মরনের

পুলিশ সুপার(অপরাধ) মোঃ সাঈদুর রহমান বলেন,ঢাকার ধামরাই উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নের রৌহা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর (৭বছরের) ছাত্রী পূর্ণিমা আক্তার কে ধর্ষণের পর হত্যা ঘটনায় সোহান(২০)ও মরন (১৯)কে গ্রেফতার ও আদালতে স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে। চার জনে মিলে এই শিশু পুর্ণিমাকে ধর্ষনের পর গলা টিপে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে আদালতে। অপর দুজন পলাতক রয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ধামরাই থানার ওসি শেখ রিজাউল হক দিপু,ওসি(তদন্ত) আবুসাঈদ আল মামুনসহ কয়েকজন।

ধামরাইয়ে প্রথম শ্রেনীর ছাত্রী পুর্ণিমা ধর্ষণের পর হত্যা ঘটনায় পুলিশ সোহান(২০)ও মরন (১৯)কে গ্রেফতার করেছে পুলশ। গ্রেতারকৃত মরন বিজ্ঞ আদালতে শুক্রবার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। জবান বন্দিতে আরো দুই সহযোগির নামও প্রকাশ করেছে বলে ধামরাই থানার ওসি (তদন্ত) আবু সাঈদ আল মামুন জানিয়েছেন।

ধামরাই থানার ওসি শেখ রিজাউল হক দিপু বলে অপর দুজনকেও দ্রুত গ্রেফতারের অভিযান অব্যাত আছে বলেন।

মঙ্গলবার সকালে ঢাকার ধামরাই উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নের রৌহা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেনীর (৭বছরের) ছাত্রী পূর্ণিমা আক্তার কে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার সকালে সংবাদ পেয়ে ধামরাই থানার এসআই বাবুল শরীফ এলাকার এক বাঁশ ঝাড়ের ভেতর থেকে ওই শিশু ছাত্রীটির রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। তার গোপন স্থানে রক্তক্ষরনের দৃশ্য ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন। পরে পুর্ণিমার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।এঘটনায় মুত পুর্ণিমার বাবা শামসুল ইসলাম বাদী মামলা দায়ের করেন।
এঘটনায় এলাকায় অভিভাবকরা ছ দ্রুত এঘটনায় অপরাধিদের সনাক্ত করে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী করে

সুয়াপুর ইউপির রৌহা গ্রামের সামসুল ইসলামের মেয়ে রৌহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী পূর্ণিমা আক্তারকে সোমবার (০২-০৭-১৮)দুপুর ১টার দিকে তার পাশের দোলোয়ারের দোকান থেকে ডিম ও ডাল কেনার জন্য বাড়ির পাশেই রৌহা ফুলতলা বাজারে পাঠায়। দেলোয়ার হোসেনের মুদি দোকান থেকে ডিম ও ডাল কিনে সে আর বাড়ি ফেরেনি।

এরপর পুর্ণিমা ফাহিমা ও পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজির পরও না পেয়ে চিন্তি হয়ে পড়ে।শিশু নিখোজের ঘটনায় বিকেলেই মাইকিং করা হয়।

অতঃপর মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে বাড়ি থেকে ৩০০ গজ দুরে মোন্নাপের ঘরের পেছনের একটি বাঁশ ঝাড়ের ভেতরে স্থানীয় লোকজন পূর্ণিমার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।

পূর্ণিমার বাবা সামসুল ইসলাম জানান,ভ্যান চালিয়ে এসে মেয়েকে ২০ টাকা দেন ডাল ও ২ টা ডিম আনার জন্য। মেয়েরে কাছে ৪ টাকা ছিল সে দিয়ে মায়ের জন্য লাল সুতা আনতে বলে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েন । তিনি বলেন সব খানে মাইকিং করা হয়। যেখানে লাশ পাওয়া গেছে, সেখানে সোমবার বিকেলেও খোঁজাখুজি করে পাওয়া যায়নি এবং তার কোন শত্রুও নেই বলে দাবী তার।

সুয়াপুর ইউপির ৪ ৫ ৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা চৌকিদার রোবেয়া আক্তার বলেন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের সাথে করে লাশ ধামরাই থানায় নিয়ে আসেন বলে জানান। তিনি বলেন খুব খারাপ কাজ হয়েছে।এর শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।

(ডিসিপি/এসপি/জুলাই ০৭, ২০১৮)